ফরিদপুরে গৃহবধূর  স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিলো সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র

ফরিদপুর একটি স্কুলে মেয়েকে পৌঁছে  দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকার স্বর্ণালংকার সহ নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন খুইয়েছেন এক গৃহবধূ। 

পীর পরিচয় দিয়ে ওই গৃহবধূকে কৌশলে ধর্মীয় কথাবার্তার আড়ালে সম্মোহন করে এসব হাতিয়ে নেয় চারজনের একদল সংঘবদ্ধ প্রতারক। শহরের কি পাইলাম মোড়ের কাছে উত্তর কমলাপুরমুখি সড়কের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে বলে জানালেও সোমবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোন মামলা রুজু হয়নি। অবশ্য ইতোপূর্বে ফরিদপুরে এভাবে আরো কিছু ঘটনার অভিযোগে মামলা হলেও এসব প্রতারকদের সন্ধান আর পাওয়া যায়নি পরে। 

এবার এদের শিকার হন শহরের উত্তর কমলাপুরের বাসিন্দা কামরুন নাহার কনা (৪২)। সংঘবদ্ধ চক্রটি নাটকীয়ভাবে একজনকে বড় ধরনের পীর সাহেব সাজিয়ে কথাবার্তার ফাঁকে তাকে সম্মোহন করে ফেলে। তারপর তাদের কথামতো গৃহবধূ  কনা নিজেই তার হাত ও গলায় থাকা দুই ভড়ি ওজনের দুটি চুরি ও ১২ আনা ওজনের একটি গলার চেইন খুলে তুলে দেন পীরের হাতে। যার বাজার মূল্য প্রায় পৌনে তিনলাখ টাকার মতো৷ প্রতারকেরা গৃহবধূ কনার ভ্যানিটিব্যাগে থাকা দেড় হাজার টাকা ও একটি বাটন মোবাইল ফোনও নিয়ে নেয়।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাটি তদন্তে গিয়েছিলেন। পীর সাহেব সেজে ওই গৃহবধূর মালামাল নিয়ে গেছে প্রতারকেরা। সোমবার বিকেল পর্যন্ত থানায় এবিষয়ে কোন মামলা হয়নি। তিনি বলেন, তদন্ত শেষে এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

ওই গৃহবধূর স্বামী মো. আজিজুর রহমান মিলন একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। এ ঘটনায় তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেছে বলে তারা সাংবাদিকদের জানান।

একুশে সংবাদ/বিএইচ