চট-কাঁথা গায়েও শীতে কাঁপছে গবাদিপশু তীব্র শীত থেকে রক্ষায় গৃহপালিত গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার শরীরে মোটা কম্বল, চট কিংবা কাঁথা জড়িয়ে দিচ্ছেন দেশের উত্তরের জেলা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৃষক ও খামারিরা। তারপরও শীত নিবারণ হচ্ছে না। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গবাদিপশুগুলো।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও খামারিদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
উপজেলার কৃষক ও খামারিরা বলছেন, শীতের চলমান দাপটে জবুথবু অবস্থায় কৃষক এবং খামারিদের বাড়িতে রাখা গরু-ছাগলের কষ্টও বহুগুণে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে রাতে ও সকালে শীতের কারণে গরু-ছাগলগুলো কাঁপতে থাকে। গবাদিপশুগুলোকে পুরানো কাঁথা, কম্বল, বস্তা, পুরোনো জামা এবং যার যা আছে তাই দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার উত্তর মেন্দা গ্রামের কৃষক মোঃ আব্দুর রশীদ বলেন, এই শীতে মানুষের যেমন কষ্ট হয় তারচেয়ে বেশি কষ্ট গরু-বাছুরের। আমার খামারে জাতের চারটি ষাড় গরু রয়েছে। এসব গরুগুলোকে শীত থেকে রক্ষায় গোয়াল ঘরের মেঝেতে ম্যাটস, শরীরে পাটের বস্তার চাদর দিয়ে রেখেছি। তারপরও গরুগুলোর জবুথবু অবস্থা।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুমানা আকতার রোমি বলেন, বর্তমান সময়ে শীতের প্রচন্ড দাপট চলছে। শীত থেকে রক্ষায় গবাদিপশুকে ঢেকে রেখে উষ্ণ রাখার বিকল্প নেই। তাই এ সময় গোয়ালঘরে যাতে ঠান্ডা বাতাস না ঢোকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
একুশে সংবাদ/এস কে