হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, আমি আমার নির্বাচনী পোস্টার বা লিফলেটের মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোন কাজ করিনি। আমার ভোটের জোয়ার দেখে এটা কেউ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করেছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) মাধবপুর উপজেলার বুল্লা বাজারে নির্বাচনী জনসভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় সুমন বলেন, যে বিষয়টি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। কারণ আমার পোস্টারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং জয় বাংলা লেখা ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তারপরও আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে লিখিতভাবে অভিযোগের জবাব দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে ষড়যন্ত্রের মধ্যে আমি নির্বাচন করছি, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে মানুষের গণজোয়ার দেখে। সুযোগ বুঝে ষড়যন্ত্রকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। কিন্তু মানুষের গণজোয়ার কোন ষড়যন্ত্র দিয়ে দমানো যাবে না।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী পোস্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহারের অভিযোগে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ সদর আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল।
নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির দেয়া পত্রে বলা হয়, আব্দুল হাই প্রিন্স নামে এক ব্যক্তি নিজেকে নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থক দাবি করে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। এতে নমুনা পোস্টার সংযুক্ত রয়েছে। নমুনা পোস্টার পর্যালোচনা করে প্রতীয়মান হয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ৭ মোতাবেক প্রার্থীর ব্যানার ও পোস্টারে নিজের ছবি, প্রতীক ও দলীয় প্রার্থী হলে একই সঙ্গে দল প্রধানের ছবির বাইরে আরও কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। আপনি পোস্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার করে উল্লিখিত বিধি লঙ্ঘন করেছেন।
প্রসঙ্গত, চুনারুঘাট-মাধবপুর নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-৪ আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হতে ফরম তুললেও মনোনয়ন পাননি ব্যারিস্টার সুমন। এই আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ