ঘন কুয়াশার কারণে আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরিসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ঘাটে আসা যানবাহন শ্রমিক ও যাত্রীদেরকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ফেরি পারাপারের জন্য ঘাটে আসা গাড়িগুলোকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৬টায় বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ম্যানেজার মো. আবু আব্দুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৩ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যার পর থেকে নদীতে কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত পোনে ১১টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেলে উক্ত নৌপথগুলো দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ শনিবার দিবাগত রাত পোনে ১১টার পর থেকে আরিচা-কাজিরহাট এবং রাত ৩টার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয় নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেন।
এসময় আরিচা-কাজিরহাট নৌ-রুটের যমুনার মাঝ নদীতে সুফিয়া এবং রুহুল আমিন নোঙর করে রয়েছে। বাকী দু’টি ফেরি যানবাহন বোঝাই করে কাজিরহাট যাওয়ার উদ্দেশ্যে আরিচা ঘাটে নোঙর করে রয়েছে। এ নৌরুটে ৪টি ফেরি চলাচল করছে।
একই কারণে রো-রো ফেরি বরকত ও মাধবী লতা যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই করে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পদ্মার মাঝ নদীতে নোঙর করে থাকে। বাকী ফেরিগুলো দুই পাড়ে নোঙ্গর করে থাকে।বর্তমানে এ নৌরুটে মোট ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।
ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নদী পারাপারের জন্য আসা যাত্রী এবং যানবাহন শ্রমিকদেরকে।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ম্যানেজার মো. আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ঘণকুয়াশার কারণে নৌপথ দেখা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় ফেরি চালাতে গেলে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে। তাই ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘণ কুয়াশা কেটে গেলে পুণরায় ফেরি চলাচল শুরু করবে বলে তিনি জানান।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :