ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেশনে এডিস মশা নিধনে জৈব কীটনাশক বিটিআই (ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েনসিস ইসরায়েলেনসিস) আমদানিতে জালিয়াতির অভিযোগ এনে মামলা করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কমকতা মোহাম্মদ বাকি বিল্লাহ বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা।
চট্টগ্রামের বন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের পাশাপাশি চোরাচালান আইনে দায়ের করা এ মামলায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মার্শাল এগ্রোভেটের শীর্ষ কর্মকতা নাসিরউদ্দিন এবং আলাউদ্দিনসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেশন এলাকায় এডিস মশা নিধনের জন্য বিটিআই আমদানি করেছিলো মার্শাল এগ্রোভেট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
এমনকি কাস্টমস থেকে ছাড় করে এসব বিটিআই ব্যবহার করা হচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠান আপত্তি জানালে শুরু হয় কাস্টমসের অনুসন্ধান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মার্শাল এগ্রোভেট নথিপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে চীন থেকে ৫ মেট্রিক টন বিটিআই আমদানি করে। সিঙ্গাপুর থেকে আমদানির কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি জালিয়াতির মাধ্যমে চীন থেকে ৫ মেট্রিক টন বিটিআই নিয়ে আসে।
কাস্টমসের দাবি, যে লাইসেন্সের মাধ্যমে এসব বিটিআই আমদানি করা হয়েছিলো, সেই লাইসেন্স যেমন জাল ছিলো, তেমনি আমদানি পণ্য বিটিআইয়ের নাম কিংবা তথ্য উল্লেখ ছিলো না। পুরো আমদানি প্রক্রিয়া ছিলো জালিয়াতিপূর্ণ।
জালিয়াতির অভিযোগ এনে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মার্শাল এগ্রোভেট এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট টিবলী এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স স্থগিতের পাশাপাশি কাস্টমসের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২১ আগস্ট) রাতে গুলশান থানায় বিটিআই নিয়ে জালিয়াতির ঘটনায় চীনের এক নাগরিক এবং পরিবেশক মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজের তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
একুশে সংবাদ/স.ট.প/জাহা