AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পলাশে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন


Ekushey Sangbad
উপজেলা প্রতিনিধি
১২:০৯ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২২

পলাশে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের পরও বেড়ে গেছে লোডশেডিং। আর তীব্র লোড শেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনে ও রাতের বেশীর ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় থমকে যাচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম। ভ্যাপসা গরমের সঙ্গে তীব্র লোডশেডিং-এর কারণে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। ইফতার, সাহরি ও তারাবির নামাজের সময়েও অনেক এলাকায় দেখা দিচ্ছে লোডশেডিং।

তবে ঘোড়াশাল পল্লী বিদ্যুৎ আঞ্চলিক অফিস বলছে, পলাশ তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের গ্রীড থেকে আমাদের চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ পাচ্ছি। পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ দিন ও রাতের বেশীরভাগ সময় পাওয়া যায় না বিদ্যুৎ। টানা কয়েকদিনের লোডশেডিং-এর কারণে শিল্প প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর, দোকান, মার্কেট, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকাসহ অপর ৪টি ইউনিয়নে একই চিত্র পল্লীবিদ্যুতের। কয়েকদিন পরই পবিত্র ঈদ উল ফিতর। আর এ ঈদ উপলক্ষ্যে কাপড় ব্যবসায়ীরা ও দর্জি প্রতিষ্ঠান গুলোতে ক্রেতাদের ভীড় বাড়লেও বিদ্যুতের সঙ্কটে তা অচল হয়ে পড়েছে। ফলে প্রচন্ড গরমে ক্রেতারা আসছে না মার্কেট গুলোতে।

একই কারণে উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা- কর্মচারী, ফটোস্ট্রেট-কম্পিউটারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে ২-৩ ঘন্টার আগে ফিরে আসার কোন লক্ষণ নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং এর কবলে উপজেলার প্রায় ৪৫ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

ঘোড়াশাল বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মুন্না, সিরাজুল, বাবুল সহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, সামনে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। কিন্তু ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের ব্যবসা বানিজ্য একেবারে লাটে উঠছে।

পলাশ নতুনবাজার এলাকায় বসবাসরত আল আমিন জানান, ঘন ঘন লোডশেডিং-এর কারণে ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছে না। অভিযোগ জানানোর জন্য বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের যেসব নাম্বার দেয়া আছে এগুলো বন্ধ থাকে, খোলা থাকলেও কল দিলে রিসিভ করে না।

পলাশ বালুচর পাড়ার মুনসুর মিয়া ও পলাশের গজারিয়ার তালতলী বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ইফতি জানান, আমাদের এলাকায় কখনো বিদ্যুতের এমন লোড শেডিং হয়নি। ইদানিং দিনে রাতে প্রায় ৪/৫ ঘন্টার অধিক সময় বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুতের এমন লোডশেডিং দেখে মনে
হয় কোন অজোপাড়া গাঁয়ে বসবাস করছি।

পলাশ উপজেলার গড়পাড়া গ্রামের বিসমিল্লাহ এম্বোটারির মালিক জাহিদ মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে তার কারখানার মেশিনগুলো অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকে। এতে করে কমে যাচ্ছে কারখানার কাপড় উৎপাদন।

নতুন বাজার এলাকার ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী ইব্রাহীম মিয়া জানান, ওয়ার্কশপের কাজগুলো পুরোপুরি বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের অপেক্ষায় থাকতে হয়। গত এক মাস ধরে এ অবস্থা চলছে। গত কয়েক দিন ধরে ব্যাপক হারে লোডশেডিং দেখা দেওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের পোলট্রি শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্পকারখানার মালিকরা।

এসব বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নরসিংদী-১ ঘোড়াশাল আঞ্চলিক অফিসের ডিজিএম মোঃ আকবর হোসেন জানান, শতভাগ বিদ্যুতায়নে পলাশ উপজেলায় ১১৮টি গ্রামের মোট ৪৫ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়েছে। অধিক লোডশেডিংয়ের কথা স্বীকার করে ডিজিএম বলেন, আমরা আমাদের গ্রাহকের বিদ্যুৎ চাহিদার তুলনায় ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের গ্রীড থেকে আমরা অর্ধেক বিদ্যুৎ পাচ্ছি।

তিনি বলেন, আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি পাওয়ার ট্রান্সফরমার থেকে ৬৩ মেগাওয়াট করে ১২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেতাম। কিন্তু গত কিছুদিন পূর্বে ৬৩ মেগাওয়াটের একটি পাওয়ার ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা অর্ধেক বিদ্যুৎ দিয়ে কোন মতে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে কাজ চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, নতুন আরেকটি ৭৫ মেগাওয়াটের পাওয়ার ট্রান্সফরমার বসানোর ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গেছে তা পেতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগতে পারে। ঈদের ছুটির সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস, কলকারখানা ও বিভিন্ন স্থাপনা বন্ধ থাকায় নতুন ট্রান্সফরমার না পেলেও লোডশেডিং থাকবেনা। আর আমরা যদি দ্রুত সময়ে নতুন ট্রান্সফরমার পাই তাহলে বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

 

একুশে সংবাদ /এসএম

Link copied!