AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রাজধানীতে বেপরোয়া বাইকারদের দাপটে অসহায় পুলিশ


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১:১০ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৪
রাজধানীতে বেপরোয়া বাইকারদের দাপটে অসহায় পুলিশ

রাজধানীর জেব্রাক্রসিং কিংবা ফুটপাত কোনো কিছুই ছাড়ছেন না মোটরসাইকেল চালকরা। যখন সুযোগ পাচ্ছেন তখনই বাইকে ছুটে চলছেন ব্যস্ত ফুটপাতে। ইচ্ছে মতো উল্টোপথে যাতায়াত আর হেলমেট ছাড়া চলাচল করছেন। এভাবেই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লাখ লাখ মোটরসাইকেল। ফলে প্রতিনিয়ত আতঙ্ক নিয়ে সড়কে চলাচল করছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনের কঠোর প্রয়োগে শৃঙ্খলা ফিরবে সড়কে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে মোটরসাইকেল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে লাগাম টানতে হবে। বেপরোয়া গতি আর অনিয়ম যেন মোটরসাইকেল চলাচলের আরেক প্রতিশব্দ। নিয়ন্ত্রণহীন এই দুই চাকার বাহনের চালকরা কোনো কথাই কানে নেন না। অনিয়মের বিরুদ্ধে নিজেদের যুক্তিও দেখান কেউ কেউ।


নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, গতবছর সারাদেশে মোট ৬ হাজার ৫২৪টি সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে শুধু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাই ২ হাজার ৫৩২টি। এরমধ্যে শুধু শহরেই ৩০১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।


যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যমতে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই শুধু ১৭৩টি দুর্ঘটনায় ২১০ জন নিহত ও ১২৯ জন আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। পথচারীরা বলছেন বাচ্চারা পারও হওয়ার মতো জায়গা পাওয়া যায় না। যাও সড়কের দু-একটা জায়গায় কাটা থাকে সেখানে গাড়ি যন্ত্রণায় আর পারাপার সম্ভব হয় না। ফুটপাতে ইট দিয়ে ব্যারিকেড দিলেও বাইক উঠিয়ে দেয়া হয়।


নিয়ম না মানা কয়েকজন চালকের দাবি, নিয়ম কেউই মানে না। সবাইতো শটকাট খুঁজে। নিজের জন্য সুযোগ নিতে প্রস্তুত থাকে। একজনের দেখা দেখি আরও মোটরসাইকেল ভুল পথেই আসে। সড়কে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বলছেন, বেপরোয়া চলাচল আর সচেতনতার অভাবেই ঘটছে দুর্ঘটনা, দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে অতিরিক্ত যানজট।


ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শেরে বাংলা নগর ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, একসঙ্গে অনেকগুলো বাইক এসে এমন পরিস্থিতি তৈরি করে যে, আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো সে সুযোগও পাওয়া যায় না।  একজন-দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়। যখন,২০-৩০ জন একসঙ্গে হয়ে যায় তখন আইনগত ব্যবস্থা নিতে গেলেও অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।  


মোহাম্মদ ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন যে হারে গাড়ি নতুন গাড়ি নামানো হচ্ছে, এতে যানজট আরও বাড়ছে। গ্রাম থেকে অনেক চলে আসছে ঢাকায় পাঠাও-উবারে রাইট শেয়ার করতে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চার চাকার বাহনের চেয়ে দুচাকার মোটরসাইকেল সড়কে দুর্ঘটনার জন্য ৩০ শতাংশ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি মোটরসাইকেল নিবন্ধনেও লাগাম টানতে হবে সংশ্লিষ্টদের।


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ফুটপাতে যেন কোনো বাইক উঠতে না পারে, এ জন্য ডিজাইনগত পরিবর্তন আনতে হবে। উচ্চতা যেন ঠিক থাকে এবং এন্ট্রি ও এক্সিটে বার দেয়া প্রংয়োজন। সর্বপোরি মোটরসাইকেল সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএর মাধ্যমে সিলি নির্ধারণের প্রয়োজন।
 

একুশে সংবাদ/এনএস

Link copied!