একটি সুড়ঙ্গ পথ। যেখানে প্রবেশ করতে পারে ৭-৮ জন। আশ্চর্য এমনই এক গোপন সুড়ঙ্গ পথের সন্ধান পাওয়া গেছে রাজধানীর মহাখালীতে নির্মিত প্রথম ফ্লাইওভারে। যেখান থেকে অনায়াসেই ঘটানো সম্ভব ছিনতাইসহ নানা অপরাধ। টানা কয়েক রাত অনুসন্ধানে খুঁজে পেয়েছে এই সুড়ঙ্গ পথ। যেখানে চলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপও।
সুড়ঙ্গ পথে পাওয়া যায় কয়েকজনের অবস্থানের চিহ্ন। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরই বের হয়ে আসে দুইজন। তাদের ভাষ্যমতে, ভেতরে অবস্থান করছিলেন আরো কয়েকজন।
ফ্লাইওভারের পুরো অবস্থান থেকে দেখা যায়, বাঁকের কাছেই সুড়ঙ্গটির অবস্থান। যেখানে পৌঁছালে কমাতে হয় গতি। তাই আগে থেকেই সুড়ঙ্গটিতে ওৎ পেতে থাকা ব্যক্তিরা গতি রোধ করে ঘটাতে পারে ছিনতাই কিংবা ডাকাতির মতো অপরাধ। এ পথ ব্যবহারকারীরা বলছেন, রাতের বেলায় অনেকটাই অনিরাপদ হয়ে যায় এই ফ্লাইওভার।
কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, হঠাৎ করেই অনেকে সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে আসে। অনেকেই পাগলের মতো ফ্লাইওভারে ঘুরাফেরা করে। আসলে তারা পাগল নয়, ছিনতাইকারী। গাড়ি ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
ফ্লাইওভার কেন্দ্রিক নানা অপরাধের কথা স্বীকার করে পুলিশ বলছে, এমন সুড়ঙ্গ খোঁজা হচ্ছে ফ্লাইওভারগুলোতে, নেয়া হবে ব্যবস্থা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মো. ফারুক হোসেন বলেন, ফ্লাইওভারের নিচে বসা যায় বা যেসব সুড়ঙ্গ পথ রয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করে প্রতিবেদন দিতে ট্রাফিক পুলিশকে জানানো হয়েছে।
ফ্লাইওভারের ওপর ছিনতাইসহ সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে নগরবাসী।
একেশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :