তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের সময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই আতঙ্কে ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।
এদিকে, ভূমিকম্পের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের তিনতলা ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের চারতলা থেকে নিচে লাফ দিয়ে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির জানান, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৭। এটির উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে। এটি মাঝারি ধরনের।
একাধিক ভবনে ফাটল
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকাসহ সারাদেশ। ভূমিকম্পে ঢাবির একাধিক হলের ভবনে ফাটল ধরেছে। কোথাও কোথাও পলেস্তরা খসে পড়েছে।
ভূমিকম্পে শামসুন নাহার হলের একটি ভবনের মিড বিল্ডিংয়ের একটি অংশে ফাটল ধরেছে। এছাড়া বারান্দায় অনেকটুকু জায়গা ফাকা হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে মাঠে নেমে আসেন।
ভূমিকম্পে মাস্টার দা সূর্য সেন, বিজয় একাত্তর হল ও শেখ মুজিবুর রহমান হলে কারো কোনো ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি৷
কবি জসীম উদদীন হলের দক্ষিণ ভবনের তৃতীয় তলায় পলেস্তারা ভেঙে পড়ে যায়। শিক্ষার্থীদের দাবিতে কিছুদিন আগে দুটি বিল্ডিংয়ের মাঝের ফাঁকা বন্ধ করতে নতুন পলেস্তারা লাগানো হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান উদ্দিন বলেন, কাপড় ধুতে ওয়াশরুমে ছিলাম। হঠাৎ ভূমিকম্পে সামনে পেছনে যাওয়া শুরু করেছি। কি করব, বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আশফাক বলেন, ঘুম থেকে উঠেই দেখি, ফ্যান নড়ছে। এমন মাত্রায় কখনো দেখিনি। ভেবেছি, আজকেই হয়তো জীবনের শেষদিন।
শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবন পর্যবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/এসআর



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

