মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সম্মান প্রথম বর্ষ, প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ বি এম ফায়েজ বলেন, “তোমরা এখন এমন এক যাত্রায় পা রাখলে, যেখানে জ্ঞান, গবেষণা, সৃজনশীলতা আর মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে তোমাদের ভবিষ্যৎ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু বইপত্র ও পরীক্ষার মাঝে সীমাবদ্ধ নয়, এটি হলো মুক্তচিন্তা, উদারতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং নেতৃত্ব বিকাশের এক মহাসমুদ্র।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশের মহান নেতা মাওলানা ভাসানী আজীবন নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকেছেন। তাঁর আদর্শ ধারণ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে সমাজের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের এই যুগে তোমাদের হাতে রয়েছে দেশের অগ্রগতির চাবিকাঠি। তবে সততা, দেশপ্রেম ও মানবিকতা যেন সবসময় পথপ্রদর্শক হয়।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. তানজীমউদ্দিন খান বলেন, “নবীন শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন, লক্ষ্য ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে আজ শুরু হলো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের নতুন অধ্যায়। মাভাবিপ্রবি কেবল জ্ঞানের আলো ছড়ায় না, এটি সৃজনশীলতা, মানবিকতা ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলার এক বিশাল ক্ষেত্র। মনে রেখো, উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু ডিগ্রি অর্জন নয়, বরং একজন সৎ, দক্ষ ও মানবিক মানুষ হয়ে ওঠা।”
নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ মো. মাহিন চৌধুরী ও ফারিহা মেহজাবীন আদিবা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন মাভাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. মতিউর রহমান এবং সদস্য সচিব ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করীম।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রক্টর, রেজিস্ট্রারসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। প্রায় ৮০০ নবীন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. ওয়ালী উল্লাহ পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে