ময়মনসিংহের ত্রিশালে গার্মেন্টস স্টাফবাহী বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের প্রভাষক মো. মাহিদুল ইসলাম।
রবিবার (২ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ময়মনসিংহ, ত্রিশাল চরপাড়া চেয়ারম্যান বাড়ি মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালবেলা বিশ্ববিদ্যালয়গামী একটি রিকশায় প্রভাষক মাহিদুল ইসলাম যাচ্ছিলেন। এসময় ‘জননী ট্রান্সপোর্ট’ নামের একটি বাস রিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়ে আহত হন। রিকশাচালকও গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা দুজনকেই উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
দুর্ঘটনার পর বাসচালক পালিয়ে যায়। পরে ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাসটি জব্দ করে থানায় নেয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
দুপুরে স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে,
১. অভিযুক্ত চালকের লাইসেন্স বাতিল করা।
২. বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সড়কে বাস ও সিএনজির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটারে সীমিত রাখা।
৩. আহত রিকশাচালক ও রিকশার ক্ষতিপূরণ বাবদ এক লাখ টাকা প্রদান।
৪. আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে সড়কের বাঁকে স্পিডব্রেকার স্থাপন।
দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষার্থীরা দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরোপয়েন্ট এলাকায় সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে আহত শিক্ষক মাহিদুল ইসলাম নিজেই আকিজ কোম্পানির স্টাফ বাস ‘জননী ট্রান্সপোর্ট’ ও চালক মো. সজল আহাম্মেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৯৮/১০৫ ধারায় দায়ের করা মামলাটি ত্রিশাল থানার ওসি মনসুর আহাম্মদ গ্রহণ করেছেন (মামলা নং: ০৩/০২-১১-২০২৫)।
ওসি মনসুর আহাম্মদ বলেন, “দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটি জব্দ করেছে। মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশের সড়কগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া যান চলাচল চলছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

