টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) রাজধানীতে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে মিছিল করেছে বিভিন্ন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল চত্বর থেকে বিশাল এই মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ শেষে একাডেমিক ভবন ৩ সামনে অবস্থান নেয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা চলমান প্রকৌশল আন্দোলনের সঙ্গে নতুন ৫ দফা দাবি
সংহতি প্রকাশ করেন। দাবিগুলো হলো—
১. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় আন্দোলনকারীদের সামনে এসে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।
২. ডিসি মাসুদের বক্তব্য অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের হাতে ছুরি থাকার প্রমাণ দিতে হবে। প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে তাকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে।
৩. পূর্বে গঠিত তদন্ত কমিটি অনুপযুক্ত হওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করা হলো। অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবিত তিন দফা দাবি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. হামলায় আহত সকল শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশের মাধ্যমে আর কোনো হামলা করা যাবে না।
৫. প্রকৌশল আন্দোলনের অন্যতম নেতা রোকন ভাইয়ের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো হ্নদয় হোসাইন বলেন, “পুলিশ হামলা চালিয়ে আমাদের ন্যায্য আন্দোলন দমন করতে চায়। কিন্তু আমরা ভয় পাই না। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী তানবীর ইসলাম তামিম বলেন, “শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র ছিলো—এমন মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে। আমরা এর সঠিক জবাব চাই। প্রমাণ দিতে না পারলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
কর্মসূচি ঘোষণা করে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন “আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে এ মিছিল শুরু হবে। কর্মসূচির আয়োজন করছে ‘প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন, মাভাবিপ্রবি’। প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে দমন করার জন্য যে বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। শিক্ষার্থীদের ওপর এভাবে আক্রমণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ন্যায্য অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ভয় দেখিয়ে কিংবা দমন-পীড়ন চালিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না।”
শিক্ষার্থীরা জানান, ন্যায্য দাবির পক্ষে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং কোনো ধরনের দমনপীড়ন তারা মেনে নেবে না।
একুশে সংবাদ/এ.জে