পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সহকারী রেজিস্ট্রার (খণ্ডকালীন) মাহমুদ আল জামান কর্তৃক রেজিস্ট্রার শাখার সেকশন অফিসার সাকিন রহমানকে প্রকাশ্যে চড়থাপ্পর মারার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সাকিন রহমান এর অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব হিসেবে প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান এবং সদস্য হিসাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মুহসিন হোসেন খান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. আমিনুল ইসলাম আছেন। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার শিকার সেকশন অফিসার সাকিন রহমান বলেন,“কোনো প্রকার উসকানি ছাড়াই মাহমুদ আল জামান এসে আমাকে চড়থাপ্পর মারে। এ ধরনের আচরণ একজন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তার জন্য চরম নিন্দনীয়। আমি চাই, এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে আর কেউ কর্মস্থলে এমন অসৌজন্যমূলক আচরণ করার সাহস না পায়।”
অভিযুক্ত সহকারী রেজিস্ট্রার (খণ্ডকালীন) মাহমুদ আল জামান পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বাসিন্দা মো. জালাল খানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে অতীতেও বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্ন সময় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন, যা প্রশাসনিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এসব কারণে কর্মকর্তাদের মাঝে তার প্রতি তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী রেজিস্ট্রার (খন্ডকালীন) মাহমুদ আল জামান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার আজকের মানসিক অবস্থা ভালো ছিলনা, তাই সেকশন অফিসার সাকিন রহমানের সঙ্গে আমার কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে চড়থাপ্পর মেরে ফেলি। আমার ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে এরকমটা আর হবেনা।
রেজিস্ট্রার (অ: দা:) অধ্যাপক ড. মো: ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, “এই ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। আশা করছি তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষভাবে ঘটনা উদঘাটন করবে।”
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন,“কর্মস্থলে সহকর্মীর সঙ্গে শারীরিক বা মানসিক আক্রমণ গুরুতর অপরাধ। আমরা চাই, বিষয়টি দ্রুত তদন্ত শেষ করে সবার সামনে সত্য তুলে ধরা হোক।”
এ বিষয়ে পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,“ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনোভাবেই বরদাশত করবে না। তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে