বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস–২০২৫’ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে বর্ণাঢ্য র্যালির উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী। র্যালিতে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যানার ও ফেস্টুনসহ অংশগ্রহণ করেন। ঘোড়ার গাড়ি ও বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে র্যালিটি পার্কের মোড়, শহিদ আবু সাঈদ চত্বর, মডার্ন মোড় হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপাচার্য বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ এক গৌরবময় অধ্যায়। ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই আন্দোলন হয়েছিল। শহিদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগ বিশ্বের ইতিহাসে একটি বিরল দৃষ্টান্ত, যা তরুণ প্রজন্মকে সাহস ও অনুপ্রেরণা জোগায়।” তিনি আরও জানান, “বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।”
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর খেলার মাঠে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রীতি খেলার আয়োজন করা হয়। বিকেলে বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে ‘জুলাই শহিদ’দের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আতশবাজি প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। এরপর স্বাধীনতা স্মারক মাঠে গান, কবিতা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শহিদদের স্মরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয় এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়।
একুশে সংবাদ/এ.জে