জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাহসিক ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা পেয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (পবিপ্রবিসাস)।
সোমবার (৫ আগস্ট) পবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এ স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আবদুল লতিফ সম্মিলিতভাবে সাংবাদিক সমিতির প্রতিনিধিদের হাতে স্মারকটি তুলে দেন।
পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির পক্ষে স্মারক গ্রহণ করেন সভাপতি মারসিফুল আলম রিমন, দপ্তর ও প্রকাশনা সম্পাদক সফিকুল ইসলাম আকাশ ও শিক্ষানবীশ সদস্য মোফাসেরুল হক তন্ময়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে সাহসিকতা, সত্যের পক্ষে অবিচলতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিসরে লেখনীর মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কারণে সাংবাদিক সমিতি এই স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য।
সম্মাননা গ্রহণের পর পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মারসিফুল আলম রিমন বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম চালিকাশক্তি ছিল সাংবাদিকদের লেখনী। সেই সময় পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি ফ্যাসিবাদী রেজিমকে চ্যালেঞ্জ করেছে, নিপীড়নের বিরুদ্ধে সাহসের সাথে কলম ধরেছে। পুলিশের নজরদারি ও গোয়েন্দা সংস্থার চাপ উপেক্ষা করে আমরা আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে হয়তো অনেক বিপ্লবীদের গলায় ফাঁসির দড়ি ঝুলতো, এই সাংবাদিক সমিতি হয়তো বিলীন হয়ে যেতো। আজ যারা প্রশাসনের চেয়ার গুলোতে বসেছেন তারা জুলাই শহীদদের রক্তের উপর দিয়ে যেয়ে বসেছেন। যদি আবারো আপনারা ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠেন জুলাই জনতা আবারো আবু সাইদ ও মুগ্ধের মতো ফিনিক্স হয়ে সেই প্রচেস্টাকে ব্যার্থ করে দেবে’
এসময় অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী জেলার তিনজন শহীদ পরিবারের সদস্যদেরও সম্মাননা জানানো হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অবদানে একমাত্র সংগঠন হিসেবে পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ঘটে যাওয়া ছাত্র-আন্দোলনের সময় পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি তথ্য প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ সময় সমিতির পক্ষ থেকে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন ও বিবৃতি জাতীয় গণমাধ্যমেও আলোড়ন তোলে।
একুশে সংবাদ/এ.জে