ফেসবুকে সহপাঠীর স্ট্যাটাসে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দেওয়ায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে জখম করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা আরিফ হোসেন শান্তের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে দশটার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ভোলা রোডের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সম্মুখে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর সহপাঠীরা আহতকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবিচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। আহত ঐ শিক্ষার্থীর মো. জাকির হোসেন (২৩)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে আহত করা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীও একই বিভাগের একই আরিফ হোসেন শান্ত৷ আরিফ হোসেন শান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল কমিটির সদস্য৷
আহত শিক্ষার্থীর সহপাঠী মুহম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, গতকাল রাত্রে সাড়ে দশটার দিকে আমি ও জাকির ভোলা রোডে বাজার করতে আসি তখন জাকির আমার থেকে একটু দূরে ছিল হটাৎ দেখি শান্ত এসে জাকিরকে চোখ বরাবর মারধর শুরু করেছে৷ প্রথমে এসেই বাম চোখে ঘুষি মেরেছে৷ পরে অন্যান্য স্থানে লাথি ঘূষি মারছে৷ পরে আমরা যেয়ে মারামারি থামানোর চেষ্টা করেছি৷ আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তারা। পরে সেখান থেকে তাকে হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের ৪র্থ তলায় স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. জাকির হোসেন বলেন, আরিফ হোসেন শান্তের একটা ফটোতে যাষ্ট একটা হা হা রিয়াক্ট করছি ৷ওই রিয়াক্ট নিয়ে মেসেন্জার আরিফ আমাকে গালাগালি করে পরে জিজ্ঞাসা করে আমি কোথায় আছি বল্লাম বরিশালে, ভোলা রোড বল্লে সে এসেই আমাকে চোখ বরাবর ঘূষি মারে৷ ঘুষি মারার পরপরই আমি মাটিতে পড়ে যায়৷পরে বুকে কিল ঘূষি মারছে৷ এখনো নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে অনাবরত৷রাত্রে আমি ঘুমাতেও পারি নি৷
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন শান্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে বিভিন্নভাবে সে ( জাকির) উৎসকানী দিয়ে ভোলা মোড়ে ডেকে নিয়ে হিট করছে ৷ আমার হাতে কামড় দিয়েছ নিজেকে আত্নরক্ষার্থে আমি তাকে মারধর করেছি৷
এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা পম্পা রানী মজুমদার বলেন, মারধরের বিষয়টি আমি শুনেছি৷ এ ধরণের ঘটনা কাম্য নয়৷ আমি দুজনের সাথে কথা বলব৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো.আব্দুল কাইউম বলেন, রাত্রে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর অসুস্থার জন্য এম্বুলেন্স সেবা চায়৷ এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেই৷ হা হা রিয়াক্ট কে কেন্দ্র করে ঘটনা ঘটেছিল বিষয়টি জানিনা৷ তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো৷
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :