AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে স্বপ্নভঙ্গ মেহেরুন নেসার


জবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে স্বপ্নভঙ্গ মেহেরুন নেসার

আজ থেকে শুরু হয়েছে গুচ্ছ ‍‍`বি‍‍` ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। শনিবার ( ২০ মে) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে । জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে প্রায় ২০ মিনিট পরে পৌঁছানোর কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি এক শিক্ষার্থী। তার নাম মেহেরুন নেসা খাদিজা।

 

দেরিতে আসার কারণে কক্ষ পরিদর্শক উক্ত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ভবনে ঘুরিয়ে, অনুমতি নেওয়ার পরও পরীক্ষা না নিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থী।

 

বিষয়টি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, সমাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, কলা অনুষদের ডিনকে জানানো হলে, পরীক্ষা শেষ হবার প্রায় ১৫ মিনিট বাকি থাকায়, পরীক্ষা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে উক্ত শিক্ষার্থীকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের নিকট নিয়ে গেলে তিনি শিক্ষার্থীকে হয়রানির জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, এবং অভিযোগ করলে হয়রানির সাথে যুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে সময় না থাকায় তিনি পরীক্ষা নিতে না পারার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করেন।

 

মেহেরুন নেসা নামের ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমি সাভার থেকে অনেক সকালে রওনা দিয়েছিলাম, কিন্তু গুলিস্থানে তীব্র জ্যামের কারণে আমার পৌঁছাতে প্রায় ১২:২০ বেজে গিয়েছিল।

 

আমি পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর দায়িত্বরত পরীক্ষা পরিদর্শকরা আমার পরীক্ষা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন কিছু শিক্ষক এসে বলেন, তোমার পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, কারণ এটা আমাদের নিয়মের ভিতরে নেই। এই কথা বলে তারা আমাকে সেখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসেন।

 

পরবর্তীতে তারা আমাকে সেখানকার এক চেয়ারম্যান ম্যাম এর কাছে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতির জন্যে পাঠায়, তিনি অনুমতি দিলে তারা আমাকে খাতা দেয়, কিন্তু তারা বলে তোমার পরীক্ষার রুম তো এইটা না, তাই তোমার পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। পরবর্তীতে একবার এই ভবন, আবার অন্য ভবনে ঘুরাতে থাকে, পরীক্ষার সময় প্রায় শেষ পর্যায়ে যখন ১২:৪০ বাজে তারা আমাকে বলে, আমার পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। পরবর্তীতে তারা আমার আর পরীক্ষা নেয়নি।

 

পরবর্তীতে পরীক্ষার্থীকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের নিকট নিয়ে গেলে তিনি বলেন, আমরা চাই না কোনো শিক্ষার্থীদের সাথেই এমন হোক, কিন্তু একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। তাই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি, যেহেতু সময় শেষ হয়ে গেছে, তাই তার পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়, তবে পরীক্ষার্থী যদি লিখিত অভিযোগ প্রদান করে, তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!