ঢাকা কলেজের নতুন লে. শেখ জামাল একাডেমিক ভবন উদ্বোধনের আগেই শৌচাগারগুলো প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কলেজ প্রশাসনের তদরকারীর অভাবের কারণেই শৌচাগার গুলোর বেহাল দশা বলে মনে করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করেই বাঁ পাশে তাকালেই দেখা যায় নতুন ১০ তলা বিশিষ্ট লে. শেখ জামাল একাডেমিক ভবন।
ভবনটির দ্বিতীয় তলায় পাঠকেন্দ্র। তৃতীয় তলায় রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ। সপ্তম তলায় দর্শন বিভাগ। নবম তলায় মনোবিজ্ঞান বিভাগ ও অষ্টম তলায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাইনবোর্ড টানানো আছে।
রোববার ৪ নভেম্বর নতুন ভবনের ভেতরে সরেজমিনে দেখা যায় যে, অধিকাংশ ওয়াশরুমগুলো বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনায় ভরে আছে যা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ময়লা হিসেবে টিস্যু, ছেড়া কাগজ, নষ্ট কলম, ইটের টুকরাসহ নানা ধরনের আবর্জনা দেখা যায়।
কিছু কিছু ওয়াশরুমের দরজার ছিটকিনিও ভেঙে গেছে যা দেখে মনে হয় বহু বছরের পুরাতন অব্যবহৃত ভবন। পানির ট্যাপ গুলো দিয়ে অটো পানি পড়ছে। কমোড বাথরুমের সুইচ গুলোও নষ্ট। এই ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে গত জানুয়ারীতে তবে, দেখে মনেই হচ্ছে না সদ্য তোলা ভবন।
ওয়াশরুম গুলো কেন ব্যবহারের অনুপযোগী? এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আমাদের ক্লিনারের সংকটের কারণেই ওয়াশরুম গুলো অপরিষ্কার হয়ে আছে। আমি আগামীকাল ক্লিনার সাথে নিয়ে সরেজমিনে ওয়াশরুম গুলো দেখব এবং ওয়াশরুম গুলো ব্যবহারের উপযোগী করতে যা কিছু করনীয় সেগুলো করব।
এ দিকে বিজ্ঞান ভবনের দ্বিতীয় তলায় নেই কোন ওয়াশরুম ফলে দ্বিতীয় তলার শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের তাগিদে আসতে হয় নিচ তলায় বা উপরের তলায়। যার কারনে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা পোহাতে হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, বিজ্ঞান ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে অনেক আগে তখন আমি ছিলাম না। তখন যারা ভবনটি নির্মাণ করেছে তারাই এই ভুলটি করেছে। এখন জায়গা সংকুলানের কারণে নতুন করে ওয়াশরুম করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
একুশে সংবাদ.কম/হ.ক.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :