AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দেশে ৭৬ শতাংশ নারী সহিংসতার শিকার


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১:০১ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

দেশে ৭৬ শতাংশ নারী সহিংসতার শিকার

বাংলাদেশে প্রতি চারজন নারীর মধ্যে তিনজনই (৭৬ শতাংশ) জীবনে অন্তত একবার স্বামী বা জীবনসঙ্গীর দ্বারা কোনো না কোনো ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এতে শারীরিক, যৌন, মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণও অন্তর্ভুক্ত।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) যৌথভাবে পরিচালিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপ ২০২৪’ আজ সোমবার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে প্রকাশ করেছে। জরিপে জাতিসংঘের সংজ্ঞায়িত সহিংস আচরণগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সহিংসতার ধরণও পরিমাপ করা হয়েছে।

জরিপে দেখা গেছে, তিনজনের মধ্যে দুইজন (৬২ শতাংশ) ভুক্তভোগী কখনোই তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সহিংসতার তথ্য প্রকাশ করেননি। নন-পার্টনার দ্বারা সহিংসতার ক্ষেত্রেও উদ্বেগজনক চিত্র দেখা দিয়েছে; ১৫ শতাংশ নারী ১৫ বছর বয়স থেকে নন-পার্টনারের কাছ থেকে শারীরিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন এবং ২.২ শতাংশ যৌন সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট তাত্ত্বিক তথ্য

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বামী দ্বারা সহিংসতার প্রাদুর্ভাব ২০১৫ সালের ৬৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২৪ সালে ৪৯ শতাংশে নেমেছে।অর্ধেকের বেশি নারী (৫৪ শতাংশ) জীবদ্দশায় স্বামীর দ্বারা শারীরিক বা যৌন সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন।যৌন সহিংসতার শিকার নারীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ গত ১২ মাসে একাধিকবার সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছেন।গর্ভবতী বিবাহিত নারীদের মধ্যে ৭.২ শতাংশ শারীরিক এবং ৫.৩ শতাংশ যৌন সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন।

নন-পার্টনার সহিংসতার চিত্র

শারীরিক সহিংসতার ক্ষেত্রে প্রধানত শাশুড়ি ও পুরুষ আত্মীয়রা জড়িত।যৌন সহিংসতার বেশিরভাগ ঘটনার সঙ্গে পরিচিত পুরুষ, বন্ধু বা আত্মীয়দের সম্পৃক্ততা রয়েছে।প্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত নির্দিষ্ট জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৮.৩ শতাংশ নারী।

সেবা গ্রহণ ও আইনি পদক্ষেপ

সহিংসতার শিকার নারীদের মাত্র ১৪.৫ শতাংশ চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।স্বামীর দ্বারা সহিংসতার শিকারদের মধ্যে ৭.৪ শতাংশ আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।নন-পার্টনার সহিংসতার ক্ষেত্রে মাত্র ৩.৮ শতাংশ আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।দুই নারীর মধ্যে একজনেরও কম (৪৮.৫%) জানেন কোথায় সহিংসতার অভিযোগ জানানো যায়।মাত্র ১২.৩ শতাংশ নারী হেল্পলাইন ১০৯ সম্পর্কে সচেতন।

ঝুঁকি ও সংযোগকারী কারণসমূহ

স্বামীর কম বয়স, যৌতুক প্রথা, মাদকাসক্তি, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এবং শহুরে বস্তিতে বসবাস নারীদের সহিংসতার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।স্বামীর উচ্চ শিক্ষার উপস্থিতি সহিংসতার ঝুঁকি কমায়।নন-পার্টনার সহিংসতার ক্ষেত্রে কম বয়স, সীমিত শিক্ষা এবং প্রতিবন্ধিতা প্রধান ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য নারী নিরাপত্তা ও সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর নীতি, বিনিয়োগ এবং আইনি সহায়তার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেছে। পাশাপাশি, জেন্ডার সমতা এবং মানবাধিকার ভিত্তিক সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

Link copied!