মিরপুর টেস্টে ফলোঅন করার সুযোগ থাকলেও তা না করে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৪৭৬ রানের জবাবে ২৬৫ রানে অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড। ফলে ২১১ রানের লিড নিয়ে আবারও ব্যাট হাতে নেমেছে স্বাগতিকরা।
৫ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় উইকেট না পড়লেও ৫৯তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এই ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড হন সেট ব্যাটার স্টিফেন দোহেনি (৪৬)। পরের বলেই বোল্ড হয়ে ফিরে যান অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। তখন আয়ারল্যান্ডের স্কোর ১৭৫/৭।
অষ্টম উইকেটে লরকান টাকার ও জর্ডান নেইল মিলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে ৪৯ রানে থাকা নেইলকে এবাদত আউট করলে ভেঙে যায় এই জুটি। এরপর আর বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি দলটি; ৮৮.৩ ওভারে ২৬৫ রানে থামে তাদের ইনিংস। টাকার থাকেন অপরাজিত ৭৫ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ৭৬ রানে নেন ৪ উইকেট। খালেদ আহমেদ ও হাসান মুরাদ শিকার করেন ২টি করে উইকেট।
রানপাহাড়ের জবাব দিতে নেমে আয়ারল্যান্ডের ওপেনার পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডি বালবির্নি যোগ করেন ৪১ রান। খালেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ২৭ রানে ফেরেন স্টার্লিং। বালবির্নি ২১ রানে বিদায় নেন হাসান মুরাদের ঘূর্ণিতে। এরপর ক্যাম্ফার (০), কারমাইকেল (১৭) ও হ্যারি টেক্টর (১৪) দ্রুত ফিরে গেলে একশর আগেই ৫ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
এর আগে প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি এবং লিটন দাসের ক্যারিয়ারসেরা স্পর্শ করা ১২৮ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ তোলে ৪৭৬। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট।
লিটন-মিরাজের ১৩৩ রানের জুটিতে ইনিংস বড় হয়। মিরাজ আউট হন ৪৭ রানে। পরে লিটন সুইপ করতে গিয়ে টপ-এজে ধরা পড়লে শেষের দিকের রান যোগ করে হাসান মুরাদ (১১) ও এবাদত (১৮*)।
প্রথম দিন বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল। মুশফিকুর রহিম ছিলেন ৯৯* ও লিটন ৪৭* রানে অপরাজিত।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

