এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ। ওপেনার সাইফ হাসানের ঝড়ো হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করেই টাইগাররা চার উইকেটের জয় তুলে নেয়। ম্যাচ শেষে সাইফ জানান, দল এখন ফাইনালে ওঠা নিয়ে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী।
গ্রুপপর্বে বিদায়ের শঙ্কা তৈরি হলেও সুপার ফোরে এসে বদলে যায় চিত্র। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠে বাংলাদেশ। সাইফ বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা ফাইনালে পৌঁছানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’
আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। সমানতালে খেলতে পারলে ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার পথ আরও সহজ হবে।
ইনিংসের শুরুতেই তানজিদ তামিমের উইকেট হারালেও লিটন দাসকে সঙ্গে পেয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাইফ। ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন তিনি। সাইফের ভাষায়, ‘তামিম (তানজিদ) আউট হওয়ার পরই পরিকল্পনা ছিল পাল্টা আক্রমণের। লিটন ভাই আমাকে দারুণভাবে গাইড করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ সেটি কাজে লেগেছে।’
পাওয়ারপ্লেতে দ্রুত রান তোলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ সময় সুযোগটা কাজে লাগাতে হয়। প্রতিটি ম্যাচের আগে প্রতিটি বোলারের বিপক্ষে পরিকল্পনা থাকে, আমরা শুধু মাঠে সেটি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি।’
বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। সাইফের মতে, ‘মোস্তাফিজ ভাই সবসময়ই ম্যাচ উইনার। তিনি বিশ্বমানের বোলার, সংকটময় সময়ে দায়িত্বটা দারুণভাবে পালন করেন।’
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা মনে করেন, তাদের ইনিংসে অন্তত ১৫–২০ রান কম হয়েছে। ৬৪ রানে অপরাজিত থেকেও দলের ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ১৬০, তবে খেলার মাঝপথে বুঝলাম ১৮০ করা সম্ভব ছিল। শেষ দুই ওভারে তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে ১৬৮ রানেই থামতে হয়েছে।’
এছাড়া বোলিং ব্যর্থতাকেও দায়ী করেন তিনি, ‘আমাদের পেসাররা সাধারণত হিট দ্য ডেক বল করে, কিন্তু আজ সেটা হয়নি। নতুন বলে দ্রুত উইকেট না পেলে স্পিনাররা চাপ তৈরি করতে পারে না। তারপরও সামনে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে যদি জিততে পারি, ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকবে।’
একুশে সংবাদ//র.ন