শেষ ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন ভাঙল বাংলাদেশের। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ খেলায় ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় লিটন দাসের দল। তবে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিজেদের করে নেওয়ায় শেষ ম্যাচের হারে টাইগারদের আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কা লাগেনি।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং সহায়ক নয়, এমন পিচেও শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিল সফরকারীরা। সাহিবজাদা ফারহানের ৫২ রানের ঝলমলে ইনিংস ও হাসান-নওয়াজদের ক্যামিওতে পাকিস্তান তুলে চ্যালেঞ্জিং ১৭৮ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ছন্দপতন বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফিরে যান তানজিদ। এরপর লিটন, মিরাজ, জাকের ও মেহেদীও ফিরে যান দ্রুত। মাত্র ২৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে পড়ে স্বাগতিকরা। পাওয়ারপ্লেতে পড়ে ৬ উইকেট—যা ঘুরে দাঁড়ানোর আর কোনো সুযোগই রাখেনি।
এক প্রান্ত আগলে কিছুটা চেষ্টা চালান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকলেও দলের হার ঠেকাতে পারেননি। পুরো দল গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৪ রানে, ১৬.৪ ওভারেই।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন সালমান মির্জা—৪ ওভারে ২০ রানে ৩ উইকেট। ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নওয়াজ নেন ২টি করে উইকেট। পুরো ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাংলাদেশকে কোনো সুযোগই দেননি বাবরহীন পাকিস্তান দল।
তবে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়, বিশেষ করে প্রথম দুই ম্যাচে তরুণদের সাহসী পারফরম্যান্স, ভবিষ্যতের জন্য আশাজাগানিয়া বার্তা দিয়েছে টাইগার শিবিরে। শেষ ম্যাচের হার হতাশাজনক হলেও সামগ্রিকভাবে সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য সফল বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা।
একুশে সংবাদ//র.ন