দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে ক্যারোলিনা মুচোভার বিরুদ্ধে খেলছিলেন এমা রাডুকানু। হঠাৎ, গ্যালারিতে এক জনকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যান ম্যাচের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা। জানা যায়, এক ব্যক্তি প্রকাশ্যে রাডুকানুকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন। সেই ব্যক্তি খেলা দেখতেও এসেছেন। এই কথা শোনার পরে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। রাডুকানুর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দুবাই টেনিস প্রতিযোগিতা চলাকালীন সোমবার প্রকাশ্যে এক ব্যক্তি রাডুকানুর সঙ্গে ছবি তোলেন। তাকে একটি চিঠি দেন। রাডুকানু পছন্দ না করলেও ওই ব্যক্তি জোর করে তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। তার ব্যবহারে বিরক্ত হন ২২ বছরের ব্রিটিশ টেনিস তারকা।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মুচোভার সঙ্গে ম্যাচ চলছিল রাডুকানুর। হঠাৎ তিনি গ্যালারিতে ওই ব্যক্তিকে দেখেন। কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায়, চেয়ার আম্পায়ারের পিছনে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন রাডুকানু। তার পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। দুবাই পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে তিনি পর্যটক। তাঁর বিষয়ে আর কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। রাডুকানুও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনেননি। তবে ওই ব্যক্তিকে দিয়ে মুচলেকা লেখানো হয়েছে, ভবিষ্যতে রাডুকানুর কাছে যাওয়ার চেষ্টা তিনি করবেন না। দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে দর্শক হিসাবে তিনি আর ঢুকতে পারবেন না।

পরে মহিলাদের টেনিস সংস্থা ডব্লিউটিএ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার প্রকাশ্যে উত্ত্যক্ত করা ব্যক্তিকে গ্যালারিতে দেখে রাডুকানু ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। ভবিষ্যতে যাতে এই ঘটনা না ঘটে তার জন্য রাডুকানুর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর পর বিএনপি পরিবাস ওপেন রয়েছে। সেখানে রাডুকানুর সঙ্গে পাঁচ জন অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন।
রাডুকানুর সঙ্গে এই ঘটনা নতুন নয়। ২০২২ সালে এক ব্যক্তি ২৩ মাইল হেঁটে রাডুকানুর বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন। জোর করে টেনিস তারকার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন তিনি। তখন রাডুকানু কিশোরী। তিনি ওই ব্যক্তির ব্যবহারে ভয় পেয়ে যান। পরে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, পাঁচ বছরের জন্য রাডুকানুর ধারে কাছে যেতে পারবেন না তিনি। সেই কারণেই হয়তো এই ঘটনার পরে বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন রাডুকানু। কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি।
ম্যাচ চলাকালীন এই ঘটনার পরে মুচোভা গিয়ে রাডুকানুকে জড়িয়ে ধরেন। কিছু ক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পরে আবার তা শুরু হয়। তবে মনে হয় ওই ব্যক্তিকে দেখার ধাক্কা মাথা থেকে দূর করতে পারেননি রাডুকানু। তাঁর খেলায় তা বোঝা যায়। বার বার ভুল করতে থাকেন। ফলে স্ট্রেট সেটে (৬-৭, ৪-৬) ম্যাচ হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেন তিনি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :