কুয়েতের আইনে অবৈধ ভাবে পরিলানা যে কোন কিছুই বড় ধরনের শাস্তিযোগ্য অপরাধ।সেই ধারাবাকিতায় প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে কুয়েতের ভিবিন্ন মন্ত্রনালয়।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুয়েতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহ-এর নির্দেশে নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ফারওয়ানিয়া এলাকায় একটি অবৈধ মেডিকেল ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে। যা একটি ব্যক্তিগত বাসায় পরিচালিত হয়ে আসিছিল দির্ঘ দিন থেকে।কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানায়,অবৈধ ভাবে পরিচালিত এই মেডিকেল ক্লিনিকে অভিযানে মোট আটজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযানে অভিযুক্ত ভারতীয় চার নাগরিককে ক্লিনিক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন কোনো ধরনের লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে চিকিৎসার কাজ করছিলেন, আর বাকি তিনজন সেখানে চিকিৎসা নিতে ডাক্তারের কাছে এসেছিলেন।
পরে তদন্তে আরও তিনজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা এই অবৈধ ক্লিনিক পরিচালনাকারীর কাছে সরকারি ওষুধ বিক্রি করত।
তদন্তে জানা যায়, এই ওষুধ চুরির সাথে আরও একজন বাংলাদেশি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মচারী জড়িত ছিলেন। তিনি তার পদ ব্যবহার করে কুয়েত স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ওষুধ চুরি করে অবৈধ ক্লিনিকে সরবরাহ করতেন।
কর্তৃপক্ষের জানায়,গ্রেপ্তার হওয়া সব আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাগ কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টের সাথে সমন্বয় করে জব্দ করা ওষুধগুলির হিসাব নেওয়া হচ্ছে।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষায় তারা সব ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখবে।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

