টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু এই ম্যাচেও জয় হাতছাড়া হয় টাইগারদের।এদিন আগে ব্যাট করে ছয় উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।ফলে প্রোটিয়ারা জয় পায় ৪ রানে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন হয় ১১ রানের। কেশভ মহারাজের বল করতে এসেই প্রথম বল করে ওয়াইড। পরের বল থেকে আসে মাত্র ১ রান। দ্বিতীয় বল থেকে ২ রান নেন জাকের। তৃতীয় বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এর পর জয়ের জন্য তিন বলে দরকার হয় ৭। এ অবস্থায় লেগ বাই থেকে আসে ১ রান। পঞ্চম বলে রিয়াদ আউট হলে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় এক বলে ৬ রান। সেই বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ। ফলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টাইগারদের।
এর আগে, দলের হয়ে রান তাড়া করতে মাঠে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রাবাদাকে দুই বলে টানা দুটি চার হাঁকান তামিম। ওভারের শেষ বলে উইকেটের পিছে ধরা পড়েন এই ওপেনার।শুরুতেই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন শান্ত ও লিটন। পাওয়ার প্লে-র বাকি অংশ কাটান দুজন। পাওয়ার প্লের শেষ হতেই ঘটে ছন্দপতন। কেশব মহারাজের প্রথম বলেই ৯ রানে আউট হন লিটন। সাকিবও ৩ রানের বেশি করতে পারেননি।
শান্ত আশা দেখালেও হতাশ করে মাঠ ছাড়েন ২৩ বল খেলে মাত্র ১৪ রান করে। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের গড়েন ৪৪ রানের জুটি। যা হৃদয় ৩৭ রানে ফিরলে ভাঙে।শেষ পর্যন্ত আর প্রয়োজনীয় রান করতে পারেননি কেউ।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশভ মহারাজ তিনটি এবং কাগিসো রাবাদা ও আনরিখ নরকিয়া দুটি করে উইকেট তুলে নেন।
এর আগে আজ টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। তানজিম হাসান সাকিবের করা প্রথম ৫ বল থেকে ১১ রান নেন কুইন্টন ডি কক। তবে মুখোমুখি প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হন আরেক ওপেনার রেজা হেনড্রিকস।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে আরেক ওপেনার ডি কককে ফেরান সাকিব। এই উইকেটকিপার ব্যাটার করেন ১৮ রান। সাকিবের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়া ট্রিস্টান স্টাবস ডাক মারেন। এর আগে তাসকিনের বলে ৪ রানে বোল্ড হন মার্করাম।
মাত্র ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেখান থেকে দলের হাল ধরেন ডেভিড মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেন। দুজনে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। তাদের ব্যাটে ম্যাচে ফিরে আসে প্রোটিয়ারা।
নিজের শেষ ওভারে আক্রমণে এসে বিপদজনক ক্লাসেনকে বোল্ড করেন তাসকিন। এ প্রোটিয়া ব্যাটার দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। মিলার করেন ২৯ রান।
বাংলাদেশের হয়ে তানজিম তিনটি, তাসকিন দুটি ও রিশাদ একটি করে উইকেট তুলে নেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :