AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বেড়েছে এলসি, রমজানে ভোক্তাদের স্বস্তি


Ekushey Sangbad
মুহাম্মদ আসাদ
১২:৩৬ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
বেড়েছে এলসি, রমজানে ভোক্তাদের স্বস্তি

আগামী মাসের (মার্চ) শেষ দিকে শুরু পবিত্র  শুরু হবে পবিত্র রমজান মাসের রোজা। রমজানকে ঘিরে এরই মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ইচ্ছেমতো বাড়িয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি দামের মধ্যে ক্রেতাদের জন্য সুখবর হলো- গত মাসে (জানুয়ারি) এলসি খোলার হার কয়েক গুন বেড়েছে। এর ফলে নিত্যপণ্যের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট্ররা।

 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রমজানে নিত্যপণ্যের আমদানি সহজ করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডলার সরবরাহ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে করে জানুয়ারি  মাসে এলসি খোলা বেড়েছে । গত মাসে (জানুয়ারি) ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪১ টন চিনির এলসি খোলা হয়েছে। গত মাসে (জানুয়ারি) ৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৩ টন তেলের জন্য এলসি খোলা হয়েছে।  এছাড়াও  এলছি খোলা হয়েছে ছোলা ও পেঁয়াজের।  গত মাসে ২৯ হাজার ৪৮১ টন খেজুর আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। গত মাসে ৮ হাজার টন বেড়ে ৪২ হাজার ৫৬২ টন পেঁয়াজের জন্য এলসি খোলা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে টিকে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার বলেন, সরকার এলসি খোলা নিয়ে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যার ফলে রমজানে চাহিদার চেয়ে বেশি পণ্যের এলসি খোলাসহ  নিত্যপণ্য আনা হয়েছে। আমরা আউটার থেকে পণ্য খালাস করি। সেটা নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি।

 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, রমজানে ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে। রমজান শুরুর আগে এসব এলসির পণ্য দেশে আসবে। সরবরাহ  ঠিক থাকলে রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। 

 

এবিষয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আরিফ   বলেন, রমজানের জন্য আনা কিছু কোম্পানির পণ্য খালাস হয়েছে। তবে সবগুলো খালাস হয়নি। কিছু জাহাজ এখনো আউটারে রয়েছে। যেগুলো খালাস হচ্ছে, সেটা বিলম্বে। কিন্তু একটি জাহাজ ১০-১২ দিন বসে থাকলে সেটার খরচ বাড়ছে। এগুলোর প্রভাব কিন্তু পণ্যের দামের ওপর পড়বে, যা  ভোক্তাকেই বহন করতে হবে।

 

এবিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়রে এক কর্মকর্তা বলেন, আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপণ্যের কোনো সমস্যা নেই। সবাই চাহিদামতো এলসি খুলে পণ্য আনতেছে। এরপরেও কোনো সমস্যা হলে সে বিষয়ে সহায়তা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

 

এবিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খুলতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ নির্দেশনা ও ডলার সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে। এর পরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী  পণ্য মজুত করে দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ করে এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

 

এবিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সব পণ্যের দাম কমেছে। এই মুহূর্তে কোনো পণ্যের দাম কমা ছাড়া বাড়ার কোনো কারণ নেই। তার পরও যদি পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে অথবা কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে দেবে।  

 

এবিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। সরবরাহেও কোনো ঘাটতি নেই। আসন্ন রমজান মাসে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

 

রোজার শুরুতে একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,  ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, ছোলার মতো পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় স্বাভাবিক আছে। আসন্ন রমজানে সমস্যা হবে না। ডলারের কারণে আগামীতে দামের ওপর কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে ভোক্তারা একসঙ্গে পুরো রমজান মাসের পণ্য কিনলে বাজারে এর একটা প্রভাব পড়ে। অসাধু ব্যবসায়ীরা তখন এ সুবিধা নিয়ে থাকে।  এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকারও অনুরোধ জানান তিনি।

 

একুশে সংবাদ.কম/আ.জ.প্র/জাহাঙ্গীর

 

Link copied!