নিবন্ধনের সময় শেষ হতে আর মাত্র একদিন বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত বরাদ্দকৃত কোটার মাত্র ১৫ শতাংশ হজযাত্রীই প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। ফলে হজের জন্য বরাদ্দকৃত কোটার বড় অংশ খালি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোকে দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দিয়েছে। সুবিধার্থে আজ (শনিবার) ব্যাংকও খোলা রাখা হয়েছে।
হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রাথমিকভাবে ১৮,৭৩৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২,৮২৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫,৯০৮ জন। চলতি বছর বাংলাদেশে হজের মোট কোটা ১,২৭,১৯৮ জন।
সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী, হজ নিবন্ধন ১২ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। তবে এখনো ৩২৯টি এজেন্সি কোনো হজযাত্রী নিবন্ধন করেনি।
‘হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬’-এর নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি এজেন্সি ন্যূনতম ৪৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করবে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া নিবন্ধন না করলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ৪৮টি এজেন্সি কোনো প্রাক-নিবন্ধন বা প্রাথমিক নিবন্ধনও করেনি।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, “ওমরাহ সম্পন্ন অনেকেই হজে আগ্রহী হচ্ছেন না। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা আছে যে ওমরাহ করলে হজ করার প্রয়োজন নেই। আশা করছি শেষ মুহূর্তে নিবন্ধনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।”
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হজে গমনেচ্ছুদের সুবিধার্থে আজ শনিবার নির্ধারিত ব্যাংকের শাখাগুলো খোলা থাকবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে