ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট স্থানকে শরিয়তের পরিভাষায় মিকাত বলা হয়। হজ ও ওমরা পালনের নিয়তে যারা মক্কার উদ্দেশে গমন করেন, তাদের মিকাত (নির্ধারিত স্থান) অতিক্রম করার আগে ইহরামের কাপড় পরে নিতে হয়। ইহরাম না পরে মিকাত অতিক্রম করা জায়েজ নয়।
মিকাতের আগেই ইহরাম
কেউ যদি মিকাতের বাইরে থেকে ইহরাম না বাঁধতে পারে তবে তার ওপর দম ওয়াজিব হবে। আর যারা বিমানযোগে হজ ও ওমরা পালনে বাইতুল্লায় আসবেন, আকাশ পথের মধ্যেই যদি মিকাতের স্থান এসে যায়, সেক্ষেত্রে তারা রওনার পূর্বেই দেশ থেকে ইহরাম বেঁধে রওয়ানা হবেন। কারণ হজ ও ওমরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে ইহরাম ব্যতীত মিকাত অতিক্রম করা হারাম।
শুধুমাত্র চাকুরী, ব্যবসা, চিকিৎসা, পড়াশুনা, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে বেড়ানো বা অন্য কোনো কারণে মক্কা শরিফ প্রবেশ করলে ইহরাম বাঁধা জরুরি নয়।
মিকাতের আগে ইহরাম বাঁধতে না পারলে...
তবে কেউ যদি কোনও কারণে মিকাত অতিক্রম করার আগে ইহরাম বাঁধতে না পারে তার বিধান সম্পর্কে জানতে চান অনেকে। যেমন একজন প্রশ্ন করেছেন-
‘এক ব্যক্তি হজ আদায়ের উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফে গেছেন, কিন্তু মিকাতের আগে ইহরাম বাঁধেননি। আবার কিছু জটিলতার কারণে মিকাতে ফিরে এসেও ইহরাম বাঁধতে পারেননি। প্রশ্ন হল, এই অবস্থায় হজের ইহরাম তিনি কোত্থেকে বাঁধবেন? এই সমস্যার কারণে মিকাতের ভেতরে ইহরাম বাঁধলে তার উপর দম আসবে কি না?’
সমাধান...
এই পরিস্থিতির ক্ষেত্রে আলেমরা বলেন, কেউ মিকাত পার হওয়ার আগে কোনও কারণে ইহরাম বাঁধতে না পারলে সে মিকাতের ভেতরেও হজের ইহরাম বাঁধতে পারবে। তবে বিনা ইহরামে মিকাত অতিক্রম করার কারণে তার উপর দম ওয়াজিব হয়েছে। পুনরায় মিকাতে ফিরে আসতে অক্ষম হওয়ার কারণে সেই দম রহিত হবে না। অবশ্য যদি পুনরায় মীকাতে আসার সুযোগ হত আর তিনি সেখানে এসে ইহরাম বাঁধতেন তাহলে ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রমের ভুলের কারণে দম দিতে হত না।
আলেমরা বলেন, কোনো ইবাদতের নিয়ত করলে প্রথমে ওই ইবাদতের জরুরি মাসআলা-মাসাইল শিখে নিতে হয়। যেন সহীহ-শুদ্ধভাবে তা আদায় করা যায় এবং এ ধরনের ভুল না হয়।
একুশে সংবাদ/স ক