মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বসবাসরত হাজারো প্রবাসীর জন্য একমাত্র স্বস্তির জায়গা ছিল ‘পারিবারিক ভিসা’। তবে এবার সেই স্বস্তিতে ভাটা পড়েছে। নতুন করে কঠোরতা আরোপ করেছে কুয়েত সরকার। ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী, যেসব প্রবাসী ৮০০ কুয়েতি দিনারের কম বেতন পাচ্ছেন, তারা আর পরিবারসহ কুয়েতে থাকতে পারবেন না।
মূলত যেসব প্রবাসী ৮০০ দিনার বা তার বেশি বেতন দেখিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে কুয়েতে এনেছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে চাকরি পরিবর্তন, পদোন্নতি না হওয়া বা বেতন কমে যাওয়ায় পূর্বশর্ত পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন—এই সিদ্ধান্ত তাদের জন্যই। যদিও তাদের ভিসা প্রাথমিকভাবে বৈধ কাগজপত্রের ভিত্তিতে অনুমোদিত হয়েছিল, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই যোগ্যতা না থাকায় তারা নিয়ম লঙ্ঘনকারী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
কুয়েত সরকারের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিসা অনিয়ম রোধে একটি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রেসিডেন্সি ও ট্রাফিক বিভাগের তথ্য মিলিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে, ফলে বেতন বা কর্মস্থল নিয়ে ভুয়া তথ্য দিয়ে ভিসা পাওয়ার সুযোগ আর থাকছে না।
নতুন নীতির বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন আবাসিক তদন্ত বিভাগ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। বেশ কয়েকজন প্রবাসীকে তলব করে ভিসা স্ট্যাটাস হালনাগাদ করতে বলা হয়েছে। নিয়ম না মানলে তাদের পরিবারকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য একদিকে যেমন অনিয়ম প্রতিরোধ, অন্যদিকে তেমনি প্রবাসীদের জন্য একটি মানসম্পন্ন জীবন নিশ্চিত করা। তবে বাস্তবে এই সিদ্ধান্তে হাজারো প্রবাসী পরিবার সংকটে পড়তে পারে এবং অনেককেই হয়তো দেশে ফিরে যেতে হবে।
একুশে সংবাদ / কু.প্র/এ.জে