চার মাস লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে ঢল নেমেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টার দিকে কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন। এরপর সরাসরি গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় নেওয়া হবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন দুই পুত্রবধূ— তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি। দীর্ঘ ১৭ বছর পর জুবাইদা রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরেও দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়তি আবেগ দেখা গেছে।
ভোর থেকেই নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে জড়ো হতে থাকেন। তারা স্লোগান দেন— “খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম”, “খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই” ইত্যাদি। অনেকেই গান-বাজনা, মিছিল ও রঙিন সাজে সজ্জিত হয়ে উপস্থিত হন।
জনসমাগমের কারণে বিমানবন্দর এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত পুরো পথজুড়ে বিভিন্ন ইউনিট ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থান করছেন। বিএনপি’র ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষক, শ্রমিক, মহিলা দলসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের অবস্থান পরিকল্পনা ছিল সুনির্দিষ্ট।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে হবে। মোটরসাইকেল কিংবা পায়ে হেঁটে গাড়িবহরের সঙ্গে যাওয়া যাবে না।" তিনি জানান, বিমানবন্দর ও গুলশানের ফিরোজা বাড়িতে সাধারণ নেতা-কর্মীদের প্রবেশের অনুমতি থাকবে না।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক পরিস্থিতির কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করেছিলেন। সেই একই বিমানে করেই চার মাস পর তিনি দেশে ফিরছেন।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :