বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএনপি।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই আল্টিমেটাম দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। চিকিৎসকরা বলছেন তাকে অতি দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাহিরে নিয়ে যেতে হবে। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ দেন। না হলে এ দেশের মানুষ আপনাদের (সরকার) নিষেধাজ্ঞা দেবে।
তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ৪টি নির্বাচন হয়েছিল, তাতে কোনো প্রকার প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে সেই ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এরপর থেকে ১৪ ও ১৮ সালে কোনো ভোট হয়নি। কী হয়েছে দেশের মানুষ তা জানে। আমরা নির্বাচন চাই, তবে সেটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি ভাঙার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মার্কিন ভিসানীতি স্বাধীন দেশের জন্য অপমানজনক। এরজন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, দেশের মানুষও সরকারকে স্যাংশন দিয়েছে।
এদিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে যোগ দিতে দুপুরের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগের দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন দলটির নেতাকর্মীরা।
এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর টানা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এরমধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলার জিনজিরা, কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে সমাবেশ, ২১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেটে রোডমার্চ, ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুর পলওয়ে মার্কেট-সংলগ্ন মাঠে এবং যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে সমাবেশ, ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল থেকে পিরোজপুর পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
এ ছাড়া ২৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নয়াবাজার, ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগের রোডমার্চ, ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জনসমাবেশ, ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকায় মহিলা সমাবেশ, ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমজীবী কনভেনশন, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলায় রোডমার্চ, ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ, ৩ অক্টোবর ফরিদপুর বিভাগে রোডমার্চ এবং সমাবেশ, ৪ অক্টোবর ঢাকায় পেশাজীবী কনভেনশন এবং ৫ অক্টোবর কুমিল্লা, ফেনী, মিরসরাই ও চট্টগ্রামে রোডমার্চ পালন করবে দলটি।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :