“জামায়াত মাঠে নামেনি, তাদের অগ্নিসন্ত্রাস করতে মাঠে নামিয়েছে বিএনপি। এর মাধ্যমে বিএনপি আগুন-সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা মানুষ মারবে, বাস পোড়াবে, স্কুল শিক্ষকের চোখ তুলে নেবে!”
শনিবার (১০ জুন) রাজধানীর নিকুঞ্জ খেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিএনপি সাম্প্রদায়িকতা করতে মাঠে নামছে বলে অভিযোগ করেন সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি অগণিত নারীর কোল খালি করেছে। তারা একুশে আগস্ট ঘটিয়েছে। অর্থপাচারকারী, ভোটচোর, আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন বানানো বিএনপির বিরুদ্ধে খেলা হবে।’
‘চলমান বিদ্যুৎ সংকটকে বৈশ্বিক সংকটের অংশ’ বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিদ্যুতের সংকট সাময়িক, কিছুদিনের মধ্যে কেটে যাবে। যেই ক্ষমতায় থাকবে সেই এই সংকটের মুখে পড়বে। এরমধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতার গিয়ে এলএমজির ব্যবস্থা করেছেন। কয়লার ব্যবস্থা করছেন, ১০-১৫ দিনের মাঝেই বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে।’
বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে তাদের শাসনামলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কথা স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আবার ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুতের পরিবর্তে হাওয়া ভবনের তৈরি খাম্বা বসবে।’
সরকার পদত্যাগ করলে বিএনপি কার সাথে সংলাপে বসবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফখরুল অবান্তর কথা বলছে, বিদেশিদের সাথে ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা করছে। ভিসানীতিসহ কিছু নিয়ে সরকার শঙ্কিত নয়। অপকর্মের জন্য বিএনপিকেই খেসারত দিতে হবে। `আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। কারণ আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করব।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ৭৫ পরবর্তীকালে সবচেয়ে সফল সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। ৪৮ বছরের ইতিহাসে জনপ্রিয় নেতা তিনি।’
তিনি বলেন, ‘তারেক অর্থপাচার করে পালিয়েছে। সৎ সাহস হলে দেশে আসুক। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি আরও হবে, যা হবে রাজপথে নির্ধারণ হবে, টেমস নদীর পার হতে নয়।’
সমাবেশে বিএনপির চলমান আন্দোলন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘যে দলে ঐক্য নেতা, মানুষ নাই, সেই দলের কর্মসূচি আন্দোলনে রূপ নিতে পারে না। আন্দোলনে নেতা লাগে, বিএনপির এক নেতা হাসপাতালে, আরেক নেতা লন্ডনে। বিএনপি সমাবেশের নামে নাশকতা সৃষ্টি করতে চায়।’
পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির শরিক ৫২ দল। ৫২ দলের কতদল আছে ফখরুল সাহেব? এটা জগাখিচুড়ি জোট। বিএনপি নেতারা আদালত না মানার দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করছে। দণ্ডপ্রাপ্ত তারেকের বক্তব্য প্রচারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফাউল করলে খবর আছে, খেলা হবে প্রস্তুত হয়ে যান।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতনের করছে আওয়ামী লীগ- এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাদের নির্যাতন করেছেন। ৫ বছরে একমাসও বাড়িতে থাকতে পারিনি আমি। বিএনপি আমাদের ঘরে থাকতে দেয়নি। আর আপনারা বিএনপি নেতারা এসি রুমে বসে নেতারা বক্তৃতা দেন।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএ মান্নান কচি।
একুশে সংবাদ/ব/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :