AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না’


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭:৪৬ পিএম, ২ জুন, ২০২৩
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের মন্ত্রী বলেছেন চমৎকার বাজেট হয়েছে। অথচ আজকে নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া বলছে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি নেই। নিত্য পণ্যের দামের যে ঊর্ধ্বগতি, চলমান যে সঙ্কট সেখান থেকে বেরিয়ে আসার কোনো রূপরেখা বাজেটে নেই। টাকা কোথা থেকে আসবে? কিভাবে আসবে সেটাও বলা নেই। এটাই হলো এই সরকারের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।

 

শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

 

ফখরুল বলেন, ‘যারা ভিক্ষুক তাদেরকেও নাকি দুই হাজার টাকা আয়কর করে দিতে হবে। এভাবে মানুষকে নিঃস্ব করে দিয়ে ক্ষমতাসীনরা মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে নিজেদের উন্নয়ন করবে। আজকে চাল-ডাল-তেল-লবণ ও পেঁয়াজের দাম এমনভাবে বেড়েছে যে কঠিন অবস্থা। গরিব মানুষ বলছে সামনে কোরবানি- আমারও তো সাধ হয় গরুর গোশত রান্না করবো। কিন্তু আদা কিনবে কোথা থেকে? সুতরাং এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে হবে। সেজন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’

 

সরকারকে বলবো- ‘অনেক হয়েছে আপনারা সরে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। না হলে দেশের মানুষ জানে কীভাবে বিদায় করতে হয়।’

 

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৪ বছরে তিনি দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন। তিনি জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। আজকে আমি স্বাধীনতা যুদ্ধের সবাইকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই। কাউকে খাটো করতে চাই না। কিন্তু আজকে যেই ব্যক্তির স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হলো সেই ব্যক্তিকে খলনায়ক বানানোর চেষ্টা করা হয়। এজন্য খুবই কষ্ট লাগে। যত কিছুই করুক কিছুই আসে যায় না। শহীদ জিয়াউর রহমানকে জনগণের হৃদয় থেকে মুছে দেওয়া যাবে না।’

 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শহীদ জিয়ার যে সম্মোহনী শক্তি ছিল তা নতুন প্রজন্মের অনেকেই জানে না। তিনি ছিলেন ক্ষণজন্মা ও বিপ্লবী। তিনি সমাজকে বদলে দিতে চেয়েছিলেন। বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশকে উঁচু স্থানে নিয়ে যেতেন। যেমনটি সাবেক মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম বি মাইলাম বলেছেন, জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে মারা না গিয়ে যদি ১৯৭৫ সালে মারা যেতেন তাহলে বাংলাদেশের ভাগ্যে কী ঘটতো আমি জানি না। বাংলাদেশ লাইবেরিয়ার মতো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতো।’

 

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে দেশের ক্রান্তিকাল তথা ঘোর সঙ্কটে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি সিপাহীদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে নতুনভাবে বিনির্মাণ করতে হবে। তিনি মুক্তবাজার অর্থনীতির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সেজন্যই তিনি গ্রামে-গঞ্জে, নদীতে-খালে ছুটে বেড়িয়েছেন। প্রত্যেক জেলায় জেলায় ঘুরেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিতেন। এই হলেন জিয়াউর রহমান। গোটা বিশ্ব তাকে এমার্জিং লিডার হিসেবে পরিচিতি দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অল্প সময়ে বলে শেষ করা যাবে না। যেই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে তৈরি করেছিলেন। সেই জিয়াউর রহমানের নাম দেশের মানুষের মনে-মগজে গাঁথা থাকবে।’

 

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা সবসময় বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ও বিপক্ষে কাজ করেছে। দেশের কিছুই অবশিষ্ট নেই। সবকিছুই তারা ধ্বংস করেছে। গণতান্ত্রিক ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। সেজন্য আমাদেরকে লড়াই-সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আগামীতেও লড়াই হবে। পেশাজীবীসহ সবাইকে আমি যার যার অবস্থান থেকে সোচ্চার হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাবো। দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে এর বিকল্প নেই।’

 

অনুষ্ঠানের জিয়াউর রহমানসহ তার পরিবার এবং দেশবাসীর জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসপিপির আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী।

 

একুশে সংবাদ/স/এসএপি

Link copied!