বিএনপির জোট ভেঙে যাচ্ছে। এই ভেঙে যাওয়া জোট দিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগকে হটাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের ঘরে হতাশা, ভেঙে গেছে জোটের হাট। বিএনপির জোট ভেঙে যাচ্ছে। এই ভেঙে যাওয়া জোট দিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগকে হটাতে পারবে না। সেই আশা, দুরাশা হয়ে যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল হাসপাতালে, ফখরুল মাঠে নেই। বিএনপির এখন পাতি নেতারা আন্দোলন করছে। কথায় আছে, হাতি ঘোড়া গেল তল, লড়বে হতাশা সৈন্যের দল।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট কর্মী বাহিনী দরকার। আওয়ামী লীগকে সুশৃঙ্খল করতে হবে। যারা আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে মাস্তানি করবে, অরাজকতা করবে, মাদক ব্যবসা করবে, জমি দখল করবে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।’
এ সময় মঞ্চে নেতাদের অতিরিক্ত ভিড় সরিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এতো নেতা তো আমাদের দরকার নেই। এতো নেতা আমাদের যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চ ভেঙে যায়।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে বক্তৃতা ভালো করে, তাকে বক্তব্যের কাজ করান। যে কাজ ভালো করে তাকে দিয়ে কাজ করান। এতো নেতা তো আমাদের দরকার নেই। যারা একই কথা বার বার বলেই যাচ্ছেন। ভাষণের মধ্যে কোনো সার কথা নেই। তাদের বক্তব্য দেয়ার দরকার নেই।’
ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারকে কোনো রাজনৈতিক দল প্রতিহত করতে পারবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে কোনো রাজনৈতিক দল হটাতে পারবে না। বিএনপি ভেঙে যাওয়া জোট কখনোই আওয়ামী লীগকে হটাতে পারবে না। এখনো সময় আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আশা ভুলে যান। সঠিক পথে নির্বাচনে আসুন।
এ সময় অলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আবদুল বাতেন মিয়া ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।
একুশে সংবাদ.কম/সট.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :