ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন ৩৯ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে তা খুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের মধ্যে বিবৃতি ও পাল্টাবিবৃতির পালা চলছে।
বুধবার (২৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, “এক কোটিরও বেশি নগরবাসীকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্য কেউ কি দুঃখ প্রকাশ করেছেন?”
তিনি আরও লেখেন,
– “আমার ছবিতে জুতা মারার ঘটনায় কেউ কি দুঃখপ্রকাশ করেছে?”
– “গুজবের ভিত্তিতে আমার পিতাকে ‘চালচোর’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দেওয়ার জন্য কেউ কি দুঃখপ্রকাশ করেছে?”
– “সরকারপক্ষ থেকে সমঝোতার চেষ্টা বারবার প্রত্যাখ্যান করার কারণে যে দীর্ঘ সংকট তৈরি হয়েছে, তার দায় কেউ কি স্বীকার করেছেন?”
– “নগর ভবন দখল ঘিরে যে সহিংসতা, সংঘর্ষ ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য কি কেউ ক্ষমা চেয়েছেন?”
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, “ইশরাক হোসেন বারবার আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন, আমার পরিবারকে অপমান করেছেন এবং হুমকিমূলক স্লোগান পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। অথচ উপদেষ্টা পরিষদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবেই আমি কথা বলেছি। কিন্তু এসবের জন্য কেউ দুঃখ প্রকাশ তো দূরের কথা, বরং আমারই কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমি কেবল সত্য কথাই বলেছি—এই আন্দোলন কিছু নেতা উদ্দেশ্যমূলকভাবে উসকে দিয়েছেন। ইশরাক হোসেনও জানেন, তাকে ব্যবহার করে একটি সুবিধাজনক আলোচনার অবস্থান তৈরির চেষ্টা হয়েছে। তিনি আমার পরিচিত কয়েকজনের কাছে তা স্বীকারও করেছেন।”
পোস্টের শেষ অংশে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে কারও সম্মানহানি করিনি, ভদ্রতা বজায় রেখেছি। তবে এর মানে এই নয় যে অন্যায়ের কোনো জবাব থাকবে না। ইতিহাস সময়মতো সবাইকে তার প্রাপ্য জবাব দিয়ে দেয়।”
একুশে সংবাদ/ জা.নি/এ.জে