“বাংলাদেশকে ধ্বংসাবশেষ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে প্রবাসীরাই মূল ভূমিকা রেখেছেন”— এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত প্রবাসী কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,“ক্ষমতাচ্যুত সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও ব্যাংক খালি করে দিয়ে গেছে। সেই সংকটের সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সই ছিল বাংলাদেশের টিকে থাকার একমাত্র ভরসা। তারা দেশের প্রকৃত নায়ক।”
তিনি বলেন,“জাতি গঠনে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ আরও শক্তিশালী হওয়া দরকার। শুধু রেমিট্যান্স পাঠানো নয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণেও প্রবাসীরা এগিয়ে এলে দেশের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।”
প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান:“একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, দেশের পরিবর্তনের জন্য পুরো জাতি নয়, একজন মানুষের দাঁড়িয়ে যাওয়াই যথেষ্ট হতে পারে। আজকের আন্দোলন এক-দুজন থেকেই শুরু হয়েছিল, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।”
ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণ করে তিনি বলেন,“তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশীদার হতে হবে আমাদের।”
প্রধান উপদেষ্টার সফরের তৃতীয় দিনে আজ (৩০ মে) জাপান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করে। এর মধ্যে রয়েছে:
১. ডেভেলপমেন্ট পলিসি লোন — অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে ৪১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ
২. জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়াল-গেজ ডাবল লেন রেল প্রকল্প — ৬৪১ মিলিয়ন ডলার ঋণ
৩. মানবসম্পদ উন্নয়ন স্কলারশিপ অনুদান — ৪.২ মিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশের পক্ষে রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী এবং জাপানের পক্ষে রাষ্ট্রদূত শিনিচি সাইদা এসব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন এবং পরবর্তী নৈশভোজেও অংশ নেন।
একুশে সংবাদ / আ.ট/এ.জে