সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে বনানীতে এখনো সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন তাদের সহকর্মীরা। এতে সড়কের দুই পাশ বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে অফিসগামীসহ বিভিন্ন কাজে বের হওয়া মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
আজ সোমবার ভোর থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকেরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। তবে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক অবরোধ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে রাজধানীর বনানী, গুলশান, ফার্মগেট, তেজগাঁও, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মহাখালী, বাড্ডা, রামপুরা, হাতিরঝিল পাশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। আর এই যানজটের প্রভাব পড়ে পুরো রাজধানী জুড়েই।
জানা গেছে, সোমবার ভোর ৬টার দিকে দুর্ঘটনায় দুই নারী শ্রমিক মারা যাওয়ার পর গার্মেন্টস কর্মীরা বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ীতে দুই পাশের সড়ক অবরোধ করে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গার্মেন্টস কর্মীরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানীতে নামার র্যাম্পও বন্ধ করে রেখেছেন। ফলে বনানীগামী যানবাহনগুলো এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামতে পারছে না।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী নূর ইসলাম বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে রামপুরা পর্যন্ত সহজেই চলে আসতে পেরেছি। তবে এরপর আর কোনোভাবেই গুলশানের অফিসে যেতে পারছি না। পরে বাস থেকে নেমে হাতিরঝিল দিয়ে হেঁটে অফিসে যাচ্ছি।
এদিকে, বিমানবন্দর সড়ক বন্ধ করে অবরোধ করায় বনানী-কাকলী ক্রসিং ও মহাখালীর আমতলী ক্রসিং হয়ে গাড়িগুলোকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
ট্রাফিক গুলশান বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, বনানী-কাকলী ক্রসিং এবং মহাখালীর আমতলীতে ডাইভারশন দিয়ে গুলশান-২ থেকে গুলশান- ১ হয়ে আমতলী দিয়ে ইনকামিং এবং ভাইস ভার্সা হয়ে আউটগোয়িংয়ে চলাচল করা যাচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ই.ট/এনএস