শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় মূল্যায়নে ধারাবাহিক ও বার্ষিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রতিটি শিশুর শিখন-অগ্রগতি যাচাই করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার পরিবর্তে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট (এনএসএ) মডেলে মৌলিক দক্ষতা জরিপ চালিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়কে নির্দিষ্ট মান অনুযায়ী সবুজ, হলুদ ও লাল শ্রেণিতে চিহ্নিত করা হবে।
প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হবে বিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়ন নিশ্চিত করা, বিশেষ করে লাল ও হলুদ ক্যাটাগরিতে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সবুজে পরিণত করা।
এ সংক্রান্ত ১৪টি সুপারিশ তুলে ধরেছেন প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কার পরামর্শ কমিটির আহ্বায়ক ড. মনজুর আহমদ।
এসময় পুরুষ পুলিশ সদস্যরা মেয়েদের ওপর হামলা চালিয়েছে অভিযোগ তুলে নিন্দা জানান তারা।
এর আগে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে আন্দোলনকারীরা ফের জড়ো হতে থাকেন। দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটের দিকে পরপর বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পরে বিকেল ৪টার দিকে প্রাথমিকে সুপারিশপ্রাপ্তরা শাহবাগ সড়কের একাংশ দখল করে রাখেন। বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে সড়ক ছেড়ে জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন তারা।
তার আগে প্রথমে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। তাদের দাবি, প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫৩১ জনের অনতিবিলম্বে যোগদান নিশ্চিত করা এবং এনটিআরসিএর নিবন্ধিত (১-১২তম) নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষকদের নিয়োগ নিশ্চিত করা।
এ ছাড়া এনটিআরসিএর নিয়োগ প্রত্যাশীরা বলছেন, শিক্ষক নিয়োগ চক্রে (১ম-৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে) আবেদনকৃতদের বৈষম্যের শিকার ও সিস্টেম দুর্নীতিজনিত কারণে তারা নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১ম থেকে ১২তম ব্যাচে উত্তীর্ণ যোগ্য নিবন্ধিত শিক্ষকদের ডেটাবেস পৃথক করে এন্ট্রি লেভেল বয়স বিবেচনা করে এবং বিগত ১৭ অক্টোবর ও ২৩ ডিসেম্বরে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে এপিএস সাব্বির আহমেদের প্রতিশ্রুতি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ছাড়া আমলাতান্ত্রিক সব জটিলতা নিরসনের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে, আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, অনেককেই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে সংখ্যাটি নিশ্চিত নই। তাদের (আন্দোলনকারীদের) নিয়ে থানায় রেখেছি। তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। কেউ নির্দোষ হলে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর কাউকে যদি গ্রেপ্তার দেখাতে হয় সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :