পুুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ক্রোককৃত সম্পত্তিগুলোর দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ৬ জুন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ক্রোককৃত সম্পত্তি দখলে নিতে আদালতে আবেদন জানান। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।
দুদক আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, বেনজীর আহমেদের ক্রোককৃত সম্পত্তিগুলো রক্ষণাবেক্ষণ জন্য রিসিভার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে কাকে আদালত থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে পূর্ণাঙ্গ আদেশ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, বেনজীরের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৬২১ বিঘা সম্পত্তি ও চারটি ফ্ল্যাটের ‘রিসিভার’ নিয়োগের আবেদন করে দুদক।
বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে ২ লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।
অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় ছিল ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো।
এসব তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে চিঠি দেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে অনুসন্ধান শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। অনুসন্ধানকালে দুদক বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
একুশে সংবাদ/ সম.টি./ এসএডি