AB Bank
ঢাকা সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

৫ হাজার রুপির বিনিময়ে এমপি আজীমকে ৮০ টুকরা করে জিহাদ


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১:২৫ এএম, ২৫ মে, ২০২৪
৫ হাজার রুপির বিনিময়ে এমপি আজীমকে ৮০ টুকরা করে জিহাদ

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার কসাই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তারা বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ারুলের দেহ ৮০ টুকরো করে নিউটাউননের ভাঙড় এলাকার নানা জায়গায় ফেলেছে বলে স্বীকার করেছেন জিহাদ । আর এই কাজের বিনিময়ে ৫ হাজার রুপি পেয়েছেন তিনি। যেহেতু জলাশয়ে ফেলা হয়েছে সেহেতু দেহের সব অংশ উদ্ধার করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।  

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তকারীদের নজরে এসেছেন বাংলাদেশের বাসিন্দা সেলেস্তা রহমান নামে এক তরুণী। খুনের দিন সম্ভবত তিনিই আনোয়ারুলকে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই সেলেস্তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ঢাকা পুলিশ। গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করানোর জন্য আসেন ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। ১৩ তারিখ নিউটাউনের ফ্ল্যাটে খুন হন সাংসদ। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর তাঁর হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভারতের পুলিশ জানতে পারে।  হত্যায় জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশে তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্যদিকে বনগাঁ থেকে গ্রেফতার হয় জিহাদ ও সিয়াম। জিহাদ কসাই। বাংলাদেশের বাসিন্দা হলেও মুম্বাইতে কাজ করতেন জিহাদ। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ জানান, আনোয়ারুলকে খুন করার পর বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল তারা। কিন্তু ধরা পড়ে গেছে। খুনের পর সাংসদের দেহ ৮০ টুকরো করে ভাঙড়ের জলাশয়ে ফেলা হয়েছে বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। তাই বৃহস্পতিবার রাত থেকে লাগাতার জলাশয় তল্লাশি চলছে। এখনও কিছু উদ্ধার হয়নি।

ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত সিয়াম ও জিহাদ জানিয়েছেন, নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটে প্রথমে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করা হয় আনোয়ারুলকে এবং পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভারী বস্তু দিয়ে সাংসদের মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। তার পর রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। খুনের পর হাড়, মাংস পৃথক করে হলুদ মাখিয়ে দেহের টুকরোগুলো নানা জায়গার জলাশয়ে ফেলা হয়।

তদন্তে উঠে এসেছে, এই খুনের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন নামে  বাংলাদেশর এক ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে আনোয়ারুলের বন্ধুত্ব ছিল। আর ওই তরুণীও শাহীনের পরিচিত। ২০০ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে নিয়ে সাংসদের সঙ্গে শাহিনের বিরোধ ছিল। 

 

একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা 
 

Link copied!