AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দক্ষ বিচার বিভাগ গঠনে বিশ্বমানের জুডিসিয়াল একাডেমি প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৮:১০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
দক্ষ বিচার বিভাগ গঠনে বিশ্বমানের জুডিসিয়াল একাডেমি প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দক্ষ বিচার বিভাগ গঠনের জন্য দেশে একটি শক্তিশালী ও বিশ্বমানের জুডিসিয়াল একাডেমি অত্যন্ত প্রয়োজন। ভূমি অধিগ্রহণ শেষ করে আগামী নভেম্বর মাস নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এই একাডেমির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৪-২৫ এর খসড়া চূড়ান্তকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। এই বিশ্বাস যে সঠিক বিশ্বাস  তা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোমর বেধে লেগে যেতে হবে। এখন থেকে এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে প্রতি তিনমাস পরপর সভা করা হবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে লিগ্যাল এইড (আইনি সেবা) প্রদানের কথা উল্লেখ থাকলেও এর থেকে বেশি পরিমাণ সেবা প্রদানের পরামর্শ দেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, লিগ্যাল এইড বাড়াতে লিগ্যাল এইড অফিসারদেরকে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে নিয়মিত সভা করতে হবে। এই সভা নিয়মিত করা সম্ভব হলে সরকারের লিগ্যাল এইড কার্যক্রম অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে পরিচিতি পাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের লিগ্যাল এইড কার্যক্রম মানুষের কাছে পরিচিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ লিগ্যাল এইড নিতে আসবে না। মামলাজট নিরসনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন।

আনিসুল হক আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল জনগণ যাতে দ্রুত ন্যায়বিচার পায়। ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য জনগণকে যাতে দীর্ঘকাল অপেক্ষা করতে না হয়। বঙ্গবন্ধুর এই দর্শন প্রতিফলিত হয়েছে বাংলাদেশের সংবিধানে। সেখানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে এবং জনগণ যাতে দ্রুত বিচার পায় সেজন্য একটি দক্ষ, বলিষ্ঠ ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দুঃখের বিষয় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর দীর্ঘকাল বিচার বিভাগের কোনো উন্নয়ন হয়নি, সংবিধান মেনে চলা হয়নি এবং এরকম বিভিন্ন কারণে মামলাজট দিনের পর দিন বেড়েছে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর প্রথমেই বিচার বিভাগের ভৌত অবকাঠামো নিমার্ণের ওপর জোর দেন। এর অংশ হিসেবেই প্রত্যেক জেলায় অত্যাধুনিক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিচার বিভাগের কলেবর বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/পি.আই.প্র/জাহা    
 

Link copied!