কাঁচাবাজার থেকে ওষুধের দোকান সবখানে জিম্মি সাধারণ মানুষ। আলুর কেজি ৫৫ টাকা আর ৮৭ টাকার স্যালাইন ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও দেখার বা নিয়ন্ত্রণের কোন উদ্যোগ দেখা যায় না।
বাজারে লিবরা ফার্মাসিউটিক্যালস ও অপসো কোম্পানির উৎপাদিত সাধারণ স্যালাইনের গায়ে মূল্য লেখা ৮৭ টাকা। অথচ এই স্যালাইন চট্টগ্রামের বিভিন্ন ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।
একইভাবে অন্যান্য স্যালাইন তিন-চারগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেক ফার্মেসিতে বেশি টাকা দিয়েও মিলছে না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাবার পর গত তিন মাস ধরে সব ধরনের স্যালাইন সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় নিজেদের মতো করে দাম নিচ্ছে ফার্মেসিগুলো।
অর্থাৎ স্যালাইনের বাজারও চলে গেছে সিন্ডিকেটের কবলে। ফার্মেসি মালিক, স্যালাইন উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধি এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, গত তিন মাস ধরে স্যালাইনের দাম নিয়ে অরাজকতা চলছে। ফার্মেসিগুলো বেশি দামে বিক্রি করলেও নেই তদারকি সংস্থাগুলোর পর্যাপ্ত অভিযান।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডিএনএস (ডেক্সট্রোজ নরমাল স্যালাইন) স্যালাইন দিতে রোগীদের পরামর্শ দেন। স্যালাইনটির দাম ৮৭ টাকা হলেও ফার্মেসিতে পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা গুণলেই মিলছে স্যালাইন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফাতেমা ফার্মেসির এক কর্মচারী বলেন, ‘যেসব ওষুধ কোম্পানি স্যালাইন উৎপাদন করে সেগুলো গত তিন মাস ধরে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে রোগীদের চাহিদামতো দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস, লিবরা ফার্মাসিউটিক্যালস, একমি ল্যাবরেটরিজ এবং অপসো কোম্পানি স্যালাইন সরবরাহ করে থাকে। গত তিন মাস ধরে তারা সরবরাহ একেবারেই কমিয়ে দিয়েছে। অপরদিকে ডেঙ্গুর কারণে চাহিদা বেড়েছে। এ অবস্থায় চাহিদার তুলনায় খুব কম স্যালাইন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে। কোনও কোনও প্রতিষ্ঠান একেবারেই সরবরাহ করছে না। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
একুশে সংবাদ/আ ভ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :