স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকেই নেতৃত্ব দিতে হবে: আবুল কালাম আজাদ

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে লক্ষ্যমাত্রা, তার সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে টেকসেই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা। বিশ্বের কাছে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজিস অর্থাৎ সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলস থাকলেও বাংলাদেশের আছে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ডেলটা প্লান।

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্মেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলার কাজে তরুণদেরই সামনের কাতারে থাকতে হবে। সিমেক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও আইডিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর উত্তরায় আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমনিারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে টেকসই উন্নয়নের স্থানীয়করণ (Localising Sustainable Development) শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটি সাস্টটেইনিবিলিটি পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. ডোরা মেরিনোভা।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইডিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক  মোঃ আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে নতুন প্রজন্ম কাজ করতে পারলেই কেবল টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। মেট্রোরেল বানানো যেমন কষ্টসাধ্য তেমনি এটি সঠিকভাবে ব্যবহার ও রক্ষনাবেক্ষনের কাজে জনসচেতনতা প্রয়োজন। সবাই যদি সুনাগরিকের ভূমিকা পালন করে তাহেলে বেশিরভাগ সমস্যাই দূর হবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির ম্যানেজমেন্ট ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. জুলিয়া রিচার্ডসন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, ড. আসিফ সিদ্দিকি, ড. হোসাইন  সামাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন সিমেক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম। অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভারসিটি অফ সানশাইন কোষ্ট এর সাথে বাংলাদেশের সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার বেশ কিছু গবেষণা কাজ করছে। টেকসই উন্নয়ন ও ব্লু ইকোনমি নিয়ে এসব কাজের গতি বাড়াতে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান এসডিজি মডেল ভিলেজ বাংলাদেশ এর ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ও সিমেকের এসডিজি কনসালটেন্ট মুহাম্মাদ শরিফুর রহমান।

একুশে সংবাদ.কম/ন.প্র/জাহাঙ্গীর