রাজধানী থেকে ৩২ মিনিটেই পাড়ি দেওয়া যাবে পদ্মা সেতু। ব্যাক্তিগত গাড়ি দিয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক) হয়ে পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজা প্রান্তে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ২৫ মিনিট। আর পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র ৬-৭ মিনিট। অর্থাৎ ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে মোট সময় লাগবে ৩২ মিনিটের মতো।
এই সেতুকে ঘিরে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হয়েছে। ২০২০ সালের ১২ মার্চ এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল পদ্মা সেতু।
আজ (রোববার) সকাল ৬টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় পদ্মা সেতু। এখন ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পাড়ি দিতে পারছে পদ্মা সেতু। এর মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হলো দক্ষিণবঙ্গের অর্থনীতির নতুন এই করিডোর।
ঢাকার প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়ের দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সাধারণভাবে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট। আর ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে সময় লাগবে ২৫ মিনিট। যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া রোডে উঠলে এই এক্সপ্রেসওয়ে সোজা নিয়ে যাবে পদ্মা সেতুর দ্বারে।
ঢাকা থেকে নিজস্ব প্রাইভেটকারে পদ্মা সেতু দেখতে আসা একজন বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে যদি কোথাও যানজট না থাকে, তবে মাত্র ২৫ মিনিটে পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজায় আসা সম্ভব। টোল প্লাজায় খুব বেশি সময় লাগছে না। মাত্র ৩০ সেকেন্ড থেকে ৪০ সেকেন্ডেই টোলের টাকা পরিশোধ করা যাচ্ছে।
মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দেখতে আসা হাসান বলেন, মোটরসাইকেলের স্পিড ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে হলে ২০ থেকে ২৫ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব।
একুশে সংবাদকম/জ.ন.জা.হা