অনেকেই বৈধভাবে দ্বিতীয় দেশের নাগরিকত্ব নিতে আগ্রহী হন। কেউ পড়াশোনা কিংবা কর্মসূত্রে বিদেশে গিয়ে গড়ে তোলেন প্রেমের সম্পর্ক, যা পরে রূপ নেয় বিবাহে। আবার কেউ সরাসরি বিয়ে করেই বিদেশি নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ খুঁজে নেন। বিশ্বের কিছু দেশে এমন সুযোগ রয়েছে, যেখানে নাগরিকত্ব পেতে হলে শুধু ওই দেশের একজন নাগরিককে বিয়েই যথেষ্ট। নিচে এমন কিছু দেশের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে বৈধ বিবাহের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব:
তুরস্ক
তুরস্কে বৈধভাবে বিয়ে করার পর যদি দম্পতি অন্তত তিন বছর একসঙ্গে বসবাস করেন, তবে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন। তুর্কি পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা ছাড়াই বা অন অ্যারাইভাল সুবিধা পান।
স্পেন
স্প্যানিশ নাগরিকের সঙ্গে বিয়ের পর এক বছর একসঙ্গে বসবাস করলেই স্পেনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। নাগরিকত্ব পেলে ফিলিপাইন, লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ও পর্তুগালের সঙ্গে দ্বৈত নাগরিকত্ব সুবিধাও পাওয়া যায়। প্রমাণ হিসেবে প্রয়োজন হবে বিয়ের বৈধ কাগজ ও যৌথ বসবাসের প্রমাণ।
আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনায় বিয়ের দুই বছর পরই নাগরিকত্ব চাওয়া সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন হবে বৈধ বিবাহের দলিল, স্প্যানিশ ভাষার প্রাথমিক জ্ঞান এবং অপরাধমুক্ত থাকার প্রমাণ।
মেক্সিকো
মেক্সিকান নাগরিককে বিয়ে করলে মাত্র দুই বছর একসঙ্গে বসবাস করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। শর্ত হিসেবে থাকতে হবে মৌলিক স্প্যানিশ ভাষাজ্ঞান, বৈধ বিবাহনামা এবং যৌথ বসবাসের যথাযথ প্রমাণ।
সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড সাধারণত কঠোর অভিবাসন নীতি অনুসরণ করলেও, বৈধ বিয়ের ভিত্তিতে তুলনামূলক সহজ নাগরিকত্বের সুযোগ দেয়। সুইস নাগরিকের সঙ্গে তিন বছর বসবাসের পর, পাঁচ বছর দেশটিতে অবস্থান করলে আবেদন করা যায়। বিদেশে থাকলেও ছয় বছর বিবাহিত থাকলে সেই সুযোগ মেলে। আবেদনের জন্য প্রয়োজন— দেশটির ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা, অপরাধমুক্ত রেকর্ড এবং বৈধ সম্পর্কের প্রমাণ।
কেপ ভার্ড
আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্ডে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম অনেকটাই সহজ। দেশটির নাগরিককে বৈধভাবে বিয়ে করার পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়।
এই দেশগুলোয় নাগরিকত্ব পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হলেও প্রতিটি রাষ্ট্র নিজস্ব নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে। তাই বিবাহের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া জরুরি।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে