সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় টুপটাপ বৃষ্টি। চারদিকে ছায়া মেঘ, হালকা হাওয়া আর ভেজা পরিবেশ—সব মিলিয়ে তৈরি হয় এক রকম রোমান্টিক পরিবেশ। এই আবহেই অনেকের মধ্যে বাড়ে মানসিক টান, এমনকি শারীরিক আকর্ষণও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টির আবহে ঘনিষ্ঠতা ও যৌন ইচ্ছা—দুটিই বেড়ে যায় স্বাভাবিকভাবেই।
ভেজা শরীর, হালকা ঠান্ডা: উত্তেজনার সূতিকাগার
মনোরোগ ও যৌনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মেঘলা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ মানুষের মনে একধরনের প্রশান্তি ও একাকীত্ব—দুটোই তৈরি করে। এই মানসিক অবস্থায় প্রিয়জনের সংস্পর্শ হয়ে ওঠে আশ্রয়স্বরূপ। ভেজা কাপড়, সিক্ত ত্বক ও ঠান্ডা বাতাস শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, যা শারীরিক উত্তেজনার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।

যাঁদের জীবনে সঙ্গী আছেন, তাঁদের জন্য বৃষ্টির সন্ধ্যা বা রাত হয়ে উঠতে পারে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ সময়ের উপলক্ষ। এ সময় অনেক দম্পতিই নতুন এক অভিজ্ঞতার খোঁজে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার পথ বেছে নেন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ: সম্পর্ক হোক নিরাপদ ও সচেতন
বৃষ্টির আবহে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত উপভোগ করতে চাইলে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকাও জরুরি। নিচে রইল কিছু পরামর্শ:
১. স্থান নির্বাচন করুন বুঝে শুনে: গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বজায় রেখে এমন জায়গায় সময় কাটান যেখানে দুজনই স্বস্তিতে থাকেন।
২. পরিচ্ছন্নতা জরুরি: বৃষ্টিতে ভিজে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর পরিষ্কার পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করে নেওয়া স্বাস্থ্যসম্মত।
৩. অ্যালার্জির প্রতি সতর্কতা: যাঁদের ত্বক সংবেদনশীল, তাঁদের ভেজা কাপড়ে দীর্ঘ সময় না থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
৪. পরিপার্শ্বের প্রতি দৃষ্টি: খোলা ছাদ, বারান্দা বা অন্য কোনো খোলামেলা স্থানে সময় কাটাতে চাইলে প্রতিবেশী বা আশপাশের মানুষজনের বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন।

স্নিগ্ধ বৃষ্টি ও সম্পর্কের উষ্ণতা—দুটির ভারসাম্যেই তৈরি হতে পারে এক মনে রাখার মতো মুহূর্ত। তবে সবকিছুই হওয়া উচিত পরস্পরের সম্মতি ও স্বাচ্ছন্দ্যের ভিত্তিতে।
একুশে সংবাদ / এ.জে