AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নারী সার্জেন্টকে মারধর: সেই মা-মেয়ের জামিন


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৮:১১ পিএম, ৩ অক্টোবর, ২০২৩
নারী সার্জেন্টকে মারধর: সেই মা-মেয়ের জামিন

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকায় সার্জেন্ট হাসিনা খাতুনকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার মা দিলারা আক্তার (৫০) ও তার মেয়ে তাসফিয়া ইসলামের (২২) জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

দিলারা আক্তার জনতা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মফিজুল ইসলামের স্ত্রী।

 

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) আসামি পক্ষের করা জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: মেহেদী হাসানের আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

 

আদালতের মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক এশারত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

এর আগে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক প্রাণোতোষ ঘোষ। অপরদিকে আসামি পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জসিমের আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

উল্লেখ্য, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকায় অবৈধ পার্কিংয়ের দায়ে একটি প্রাইভেটকারে মামলা দেওয়ায় সার্জেন্ট হাসিনা খাতুনকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তাসফিয়া ইসলাম (২২) ও তার মা দিলারা আক্তারের (৫০) বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনার জেরে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ওই সার্জেন্ট বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

 

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন বলেন, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শিয়া মসজিদ ক্রসিং এলাকায় আমার ডিউটি চলছিল। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাজমহল রোডে রং পার্কিং করা দুটি প্রাইভেটকারকে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৮৭ ধারায় প্রতিবন্ধকতার মামলা দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর ঢাকা মেট্রো-গ-৪২-১৩০১ মালিক দিলারা আক্তার গাড়িতে কেন ৫ হাজার টাকার মামলা দিয়েছি সে বিষয়ে আমার কাছে জানতে চায়। পরে আমি তাকে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরা থেকে রং পার্কিংয়ের ভিডিও দেখিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। এ সময় তিনি ‘কেন তুই আমার গাড়িতে মামলা দিলি’ -একথা বলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে পুলিশ বক্স থেকে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর তার মেয়ে তাসফিয়া ইসলাম এসে আমার কাছে ভিডিও দেখতে চান, আমি তাকেও ভিডিও দেখাই এবং বুঝিয়ে বলি।

 

তিনি আরও বলেন, তারা বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে ও মা মেয়ে মিলে আমাকে কিল, ঘুষি, চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। আমার মুখ শরীরে বিভিন্ন জায়গায় খামচি দিয়ে জখম করে। তারা আমার ওয়াকি টকি বডি ওয়ার্ন ক্যামেরা রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয় এবং আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয়, সেটি এখনো পাওয়া যায়নি। পরে আমার সঙ্গে ডিউটিরত দুই কনস্টেবল এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তারা আরও চড়াও হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন।

 

একুশে সংবাদ/ম.ব.প্র/জাহা

Link copied!