AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বার্নিকাটের গাড়ি বহরে হামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জন আসামি


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১২:৪৪ পিএম, ১ অক্টোবর, ২০২৩
বার্নিকাটের গাড়ি বহরে হামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জন আসামি

সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এতে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে। গত ১৯শে সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।  

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, এ আসামিদের অপরাধের সত্যতা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

আসামিরা হলেন, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেল, মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ, ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, সাজু ইসলাম, রাজীবুল ইসলাম, শহিদুল আলম খান, সিয়াম ও অলি আহমেদ। এরমধ্যে ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। অন্য আসামিরা জামিনে রয়েছেন।

মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ ও মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেল সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক। বাকি আসামিদের অনেকেই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।

২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুরের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। নৈশভোজ শেষে তিনি গাড়িতে ওঠার সময় হামলাটি হয়।

এই ঘটনায় করা মামলায় ২০২১ সালের মার্চে নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। তবে পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপক্ষ অধিকতর তদন্তের আবেদন করে। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগকারীসহ পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন আসামি হিসেবে বাদী বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তার নাম উল্লেখ করেননি। তাই প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করতে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।

মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ ও নাইমুল হাসান ছাড়া অভিযোগপত্রে ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, সাজু ইসলাম, রাজীবুল ইসলাম, শহিদুল আলম খান, সিয়াম ও অলি আহমেদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। অন্য আসামিরা জামিনে রয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে নাইমুল হাসান ঘটনার সময় মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি শনিবার বলেন, আমরা সে সময় ঘটনাস্থলের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলাম। চিৎকার শুনে গিয়েছিলাম। সেই যাওয়াটাই আমাদের ভুল হয়েছিল।

আরেক আসামি মীর আমজাদ হোসেন ঘটনার বছর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শহীদুল আলম খান ছিলেন শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক।

২০২১ সালে দেয়া অভিযোগপত্রে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোজাহিদ আজমির নাম ছিল। তিনি ওই বছর (২০২১) মারা যান। আজমি ও নাম-ঠিকানা না পাওয়া অজ্ঞাতনামাদের অব্যাহতির অনুরোধ করা হয়েছে।


একুশে সংবাদ/এসআর
 

Link copied!