AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পিকে হালদারসহ ১৪ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি চায় দুদক


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬:৩৭ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি চায় দুদক

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার তথা পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।

 

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তারিখ ঠিক করেন।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।

 

এছাড়া এই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন তিনি।

 

মামলাটি তদন্ত শেষে পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন।

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে বিশেষ পিপি আহমেদ মীর আব্দুস সালাম আইনগত বিষয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে কারাবন্দি আসামিদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী শুনানি করতে সময় চান। পরে বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আসামিপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।

 

শুনানিতে এই মামলায় কারাগারে থাকা ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

 

শুনানি শেষে আহমেদ মীর আব্দুস সালাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শুনানিতে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করা হয়েছে। তিনি আদালতকে বলেছেন, এই মামলার সাক্ষীরা পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করেছেন।

 

২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এর পর্যন্ত ৯৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

 

মামলার আসামিদের মধ্যে পিকে হালদার আছেন ভারতের কারাগারে। তাকেসহ ১০ জনকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার কার্যক্রম চলছে।

 

বাকি ৯ জন হলেন পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

 

কারাগারে থাকা বাকি চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারি, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

 

২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর পিকে হালদারের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দুদক। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই পালিয়ে যান দেশের আর্থিক খাতের এই ‘জালিয়াত’।

 

পরে ২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরে অর্থপাচারের অভিযোগে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করা হয়।

 

এর আগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

 

একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা

Link copied!