AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গাজায় বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
১২:২০ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

গাজায় বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

গাজা উপত্যকার সীমান্তে প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ।

ইহুদিবাদী সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ লিখেছে, গাজা উপত্যকার সীমান্তে আমেরিকান ঘাঁটি নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনা এবং সময়সূচি সম্পর্কে অবগত ইসরায়েলি সূত্রগুলো জানিয়েছে যে ঘাঁটিটি ভবিষ্যতে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার জন্য এই অঞ্চলে মোতায়েন করা আন্তর্জাতিক বাহিনীর ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হবে এবং সেখানে হাজার হাজার সৈন্য থাকার ব্যবস্থা করা হবে।

ইসরায়েলি সূত্রগুলো ঘাঁটি নির্মাণের খরচ প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করেছে।

সংবাদমাধ্যমটির মতে, আমেরিকানরা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন ঘাঁটি নির্মাণের বিষয়টি এগিয়ে নিতে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা ও সেনাবাহিনীর সাথে আলোচনা করছে এবং এমনকি তারা ঘাঁটি নির্মাণে সম্ভাব্য স্থান নির্বাচনের কাজও শুরু করেছে।

তবে, ইহুদিবাদী সংবাদ-সূত্র ‍‍`শুমিরিম‍‍` -এর সাথে আলোচনায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্রগুলো এই ঘাঁটি প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব সম্পর্কে সতর্ক ছিল, তারা বলেছে যে এটি গাজায় এবং ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতের হস্তক্ষেপের জন্য আমেরিকান দৃঢ়তার মাত্রা তুলে ধরছে।

মার্কিন সরকার গাজায় সেনা ঘাঁটি নির্মাণের ব্যাপারে ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয় করা ছাড়াই কাজ করতে পারে বলে শুমিরিম মনে করছে।

তবে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন যে, গাজায় সেনা-ঘাঁটি নির্মাণের এই ধরনের পদক্ষেপ এক দখলদারিত্বের পরিবর্তে অন্য দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার প্রতীক, এবং এটি কেবল ইসরায়েলিদের জুতা বিদেশীদের জন্য প্রতিস্থাপন করার শামিল মাত্র।

নভেম্বরের গোড়ার দিকে, গাজার হামাস প্রতিরোধ আন্দোলনের একজন সিনিয়র নেতা মুসা আবু মারজুক স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, এই গোষ্ঠীটি কখনই এই ধরনের ‍‍`বিকল্প দখলদারিত্বের ব্যবস্থা‍‍` সহ্য করবে না।

এর আগে, ওয়াশিংটন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব প্রচার করেছিল, যেখানে গাজায় কমপক্ষে দুই বছরের জন্য একটি তথাকথিত "আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ)" গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, কাতার ও  মিশরের সেনাদের নিয়ে গঠিত এই বাহিনী গাজার পুনর্গঠন ও নিরাপত্তার অজুহাতে কাজ করবে, একই সাথে কার্যকরভাবে গাজার "নিরস্ত্রীকরণ" ও প্রতিরোধ অবকাঠামো ভেঙে-ফেলা নিশ্চিত করবে।

আমেরিকান সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের মতে, আইএসএফ পরিকল্পনাটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০-দফা প্রস্তাবের প্রথম পর্যায়ের অংশ, যিনি দাবি করেন যে এটি গাজায় "যুদ্ধের অবসান" ঘটাবে।

তবে সমালোচকরা যুক্তি দিয়েছেন যে প্রস্তাবটি ইসরায়েলি দখলদারিত্ব, যুদ্ধাপরাধের জন্য জবাবদিহিতা এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ক্ষতিপূরণের অধিকারের মূল বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করছে।

সিনিয়র হামাস নেতা আবু মারজুক আরও প্রকাশ করেছেন যে ওয়াশিংটন ও তেল আবিব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ধরনের মিশনের অনুমতি দেওয়ার কর্তৃত্ব প্রদানের বিরোধিতা করেছে।

একুশে সংবাদ/এসআর

Link copied!